ঢাকা, সোমবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএমপি কমিশনার

বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ লুটকারীরা পেশাদার ডাকাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ লুটকারীরা পেশাদার ডাকাত

ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ লুটকারীরা পেশাদার ডাকাতদলের সদস্য বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। পাশাপাশি ২০১৭ সালের একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির সূত্র ধরে এই পেশাদার ডাকাতদলের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার।

ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত মাসের ২৩ তারিখে রাত পৌনে ১১টার দিকে বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন তার বাড়ির সামনে একটি সশস্ত্র ডাকাতির শিকার হন। ভুক্তভোগীর দাবি, ডাকাতরা ২০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চলে যায়। সেই ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়। যে ঘটনাটি ভিডিও আকারে বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় আসে, সেটি অত্যন্ত ভীতিকর এবং মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় নিবিড়ভাবে কাজ করে আমরা ঘটনাটি উদ্‌ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। এই ঘটনায় ৭ জন জড়িত ছিল। এরমধ্যে আমরা ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও আমরা দুই রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। সাথে লুট হওয়া স্বর্ণ, বিক্রীত স্বর্ণে ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা উদ্ধার করি। এই ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেল ব্যবহার হয়, তার মধ্যে আমরা একটি জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এই ডাকাতির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা ২০২৪ সালে একটি জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনার দুজন ইয়াসিন ও দেলোয়ারকে আমরা গ্রেপ্তার করি। এসব ডাকাতরা সংঘবদ্ধ থাকে। ডাকাতির অনেক গ্রুপ আছে। এই ঘটনা উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা সেসব ডাকাতদলকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। অচিরেই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।

গুলিবিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ভালো আছেন বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাতরা পেশাদার ডাকাতদলের সদস্য। ২০১৭ সালেও তারা একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করেছে। সেই ডাকাতির সূত্র ধরে এই ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. কাউছার (৩১), মো. ফরহাদ (৬৪), মো. খলিলুর রহমান (৫০),  মো. সুমন (৩০),  দুলাল চৌধুরী (৪৩) ও  আমিনুল (৩৫)।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর ও মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে লুষ্ঠিত স্বর্ণের মধ্যে ৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ, বিক্রীত স্বর্ণের মূল্যবাবদ নগদ দুই লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা, ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ৭.৬২ এমএম রিভলভার, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৫
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।