ঢাকা, সোমবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৫
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম চিকিৎসাধীন মিজানুর রহমান মিলন ও ইনসেটে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কবিরহাটে কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীর বাবা মিজানুর রহমান মিলনকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করেছে সঞ্জয় রায় (২৫) নামে এক যুবক।  

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জানগর গ্রামের রায় বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত মিলন ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

অপরদিকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় একই গ্রামের দেবরাজ রায়ের ছেলে।

হামলার শিকার মিলনের ছোট ভাই ফরিদ অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কবিরহাট বাজারে তার বড় ভাই মিলনের ইলেকট্রিকের একটি দোকান রয়েছে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি ইলেকট্রিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মেয়ে মাইনুর আক্তার মিম (২৪) নোয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী।  

তিনি বলেন, গত ১৫-২০ দিন আগে বিকেলে মিম আমাদের পুরাতন বাড়ি থেকে নতুন বাড়ি যাওয়ার পথে সঞ্জয় তার গতিরোধ করে টানাটানি শুরু করেন। মিম তখন ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। ওইদিন থেকে সঞ্জয় নানাভাবে মিমকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, মিমের কাছে পাত্তা না পেয়ে ওই যুবক মিমের চাচাতো বোন স্থানীয় নরোত্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল নাঈমকে নুনকে (১৪) উত্ত্যক্ত শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে বসতঘরের জান্নাতুলের শয়ন কক্ষের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলে জানালায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন সঞ্জয়। জান্নাতুলের দাদি হালিমা খাতুন (৭৫) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘরের বাইরে এসে সঞ্জয়কে হাতেনাতে ধরে। এরপর তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আমার বড় ভাই মিলন সঞ্জয়ের ঘরের সামনে গিয়ে তার অপকর্মের বিষয়গুলো তার বাবাকে জানান।  

এতে সঞ্জয় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বের হয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সঞ্জয়ের চাইনিজ কুড়ালের কোপে মিলনের মাথা কেটে চৌচির হয়ে যায়। বর্তমানে মিলন ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ওই সময় বড় ভাই মিলনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার ছোট ভাই ফরিদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এমনকি চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুবও হামলার শিকার হন।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সঞ্জয় ও তার বাবাকে পাওয়া যায়নি।  

সরেজমিনে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।  

এ বিষয়ে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মঞ্জুর আহমদ জানান, এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।