ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রাজবাড়ীতে ওসি-এসআইসহ ৩ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৫
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রাজবাড়ীতে ওসি-এসআইসহ ৩ জনের নামে মামলা

রাজবাড়ী: সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা ছাড়াই এক গৃহবধূকে (২৫) আটক করে ধর্ষণচেষ্টা ও ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে রাজবাড়ীর পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।

বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী গৃহবধূর বাড়ি পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামে। ওসি-এসআই ছাড়াও মামলার আরেক আসামি হলেন আরিফ হোসেন। পাংশার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের এতেম শেখের ছেলে আরিফ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নির্দেশে এসআই হিমাদ্রি হাওলাদার ও সহযোগী আরিফ হোসেন ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান। সে সময় এসআই হিমাদ্রি ও সহযোগী আরিফ ওই গৃহবধূর বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে তার স্বামীকে খোঁজার অজুহাতে তল্লাশি চালান। এক পর্যায়ে স্বামীকে না পেয়ে তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এরপর তারা ওই গৃহবধূকে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করার সময় তিনি ওয়ারেন্ট দেখতে চান। এসময় তারা তাকে জানান, ওসির নির্দেশে ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পরে তাকে থানায় এনে শারীরিক, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, স্বামীসহ স্বজনরা ওই গৃহবধূকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানায় গেলে ওসি, এসআই ও সহযোগী আরিফ তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন। এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে গৃহবধূকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের দাবি করা মোটা অংকের টাকা না দিলে গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরও অভিযোগ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জাহিদ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূর দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে মোবাইলফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।