ঢাকা, রবিবার, ৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণসহ একাধিক মামলা

সিলেটে ‘সেকেন্ড লেডি’ হেলেনার কথিত পার্টনার কায়েস গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
সিলেটে ‘সেকেন্ড লেডি’ হেলেনার কথিত পার্টনার কায়েস গ্রেপ্তার

সিলেট: জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত ‘সেকেন্ড লেডি’ হেলেনার কথিত পার্টনার ও আলোচিত ভূমিখেকো মিছবাহুল ইসলাম কয়েসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মিছবাহুল ইসলাম কয়েস (৫০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত নিমার আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার বড়শালা ফরিদাবাদ আহমদ হাউজিং এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়েসের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলাসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলা রয়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় এবং বাকি ছয়টি মামলা কোতোয়ালি থানায় দায়ের হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটের নানা প্রভাবশালী মহলে কয়েস পরিচিত একজন ‘ভূমিখেকো’ হিসেবে। মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী হেলেনার ‘পার্টনার’ পরিচয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন।

জানা যায়, আত্মগোপনে থাকা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের স্ত্রী সেলিনা মোমেনের সঙ্গে হেলেনার ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সম্পর্ককে ব্যবহার করে কয়েস ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে গড়ে তোলেন ‘মোমেন ফাউন্ডেশন’। এর পেছনের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন কয়েস নিজেই।

হেলেনার সহায়-সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে যেসব অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে, তার বেশিরভাগেই সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন কয়েস। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে হামলার ক্ষেত্রেও তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় হেলেনার রাজনৈতিক অবস্থান, ভূমির দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে অপরাধ সংগঠনের বিষয়গুলো আবারও আলোচনায় এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
এনইউ/এমজে

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।