ঢাকা: দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসুন্ধি ইউনিয়নের মিয়াকুন্ডু গ্রামের আহমেদ মোল্যার ছেলে আক্তারুল ইসলামের (২৩)।
কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে।
পরিবারে উপার্জন অক্ষম বৃদ্ধ বাবা ও দিনমজুর ভাইয়ের সংসারে এখন আর মিলছে না অর্থ। এখন মানুষের সহায়তায় চিকিৎসা করাতে হয়। বর্তমানে খুব দুর্দশার মধ্যে দিন পার করছেন আক্তারুল। তার চার বছরের ছোট্ট একটা ফুটফুটে মেয়ে রয়েছে। আক্তারুলের স্ত্রী তার একটি কিডনি স্বামীকে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। ফলে চিকিৎসাহীনতায় সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন আক্তারুল ও তার পরিবার।
শিক্ষাজীবনে প্রথমে আক্তারুল নারিকেলবাড়িয়া জেড এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে এসএসসি ও নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজ থেকে ২০১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস ফলাফল পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স শেষ করেন।
আক্তারুল ইসলাম জানান, পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির পর ঋণ করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তার স্ত্রী নিজের একটি কিডনি দান করতে চেয়েছেন। চিকিৎসক বলেছেন, কিডনি ভালোভাবে ‘ম্যাচ’ করলে ট্রান্সপ্ল্যান্টের (প্রতিস্থাপন) মাধ্যমে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, গত পাঁচ মাস ধরে স্ত্রীর সাথে কিডনি ‘ম্যাচ’ সংক্রান্ত বিভিন্ন টেস্ট সম্পন্ন করেছেন ও আইনগত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। তবে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়ের সামর্থ্য না থাকায় সবকিছু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সমাজের মানবিক বোধ সম্পন্ন বিত্তশালী ও সহানুভূতিশীল মানুষেরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে না দাঁড়ালে কোনো কিছুই সম্ভব হবে না।
আক্তারুল বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় হলে আমার অপারেশন করবেন শ্যামলী সিকেডি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কামরুল ইসলাম। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছেন তিনি। সমাজের সবাই মিলে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলে নতুন করে জীবন ফিরে পাবো আমি।
এ অবস্থায় আক্তারুল ইসলাম সমাজের হৃদয়বানদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সবাই যে যার অবস্থান থেকে অতি সামান্য যা পারেন সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ করছি। আপনারদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানে আমার বড় অপারেশন হবে এবং সারা জীবন আমি আমার পরিবার ও আমার ছোট্ট বাচ্চাটা আপনাদের জন্য দোয়া করবো। আমার চিকিৎসার জন্য আপনাদের কাছে জোর অনুরোধ করছি, একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। একটু সহযোগিতা করলে সবার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম-মো. আক্তারুল ইসলাম (নিজে), বিকাশ,নগদ,রকেট (০১৯৮০৫৮৭৩২৬-পার্সোনাল), ব্যাংক একাউন্ট, ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশ, অ/প-২০৫০১৭৫০২০৪১০৯২১৭.
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
এএটি