ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৪ মে ২০২৫, ০৬ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

রান্নাঘরে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৫, মে ৩, ২০২৫
রান্নাঘরে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু

ঢাকা: গাজীপুরে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশু আইয়ানের বয়স দেড় বছর।

এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনজনে।

শনিবার (৩ মে) সকাল ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা যায় শিশুটি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, আইয়ানের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আজ সকালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছে শিশুটি।
বর্তমানে পারভীনের ৩২ শতাংশ ও তানজিলার ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তারা ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগে রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটার দিকে গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় একটি বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয় তাসলিমা আক্তার (৩০) তাসলিমার মেয়ে তানজিলা (১০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সিমা (৩০), পারভীন (৩৫) ও পারভীনের দেড় বছরের ছেলে আইয়ান।

আইয়ানের চাচা আরিফ হোসেন জনান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায়। আইয়ানের বাবা মাজহারুল ইসলাম পোশাক শ্রমিক। মা পারভীন গৃহিনী। ঘটনার দিন ছেলেকে নিয়ে তার ঘরেই ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে মা-ছেলে দগ্ধ হয়। আইয়ানের মা পারভীন হাসপাতালে ভর্তি।

মৃত তাসলিমার স্বামী হোসেন আলী জানান, স্বামী-স্ত্রী দুইজনই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাসলিমা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বর্তমানে চাকরি ছেড়ে বাসায়ই থাকতেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধারাপানি গ্রামে। ঘটনার দিন তাসলিমা ও তার মেয়ে তানজিলা বাসায় ছিলেন। গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে আগুনে তারা দুজনই পুড়ে যান।

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী রোমান জানান, রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসাটিতে রান্না করছিলেন পারভীন। তখন গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শিশুসহ তারা পাঁচজন দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এজেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।