ঢাকা: দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের প্রতিবাদে মধ্যরাতে ক্যাম্পাস এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিনগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে একাধিক মিছিল বের করে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দিনগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে একটি মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে হলপাড়া থেকে একটি মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় স্লোগান দিতে দেখা যায়। এছাড়া ঢাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও করতে মিছিল নিয়ে যেতে দেখা গেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতাকর্মীদের।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর রুমে থাকতেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিনগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক।
তিনি জানান, রাতে সহপাঠীরা সাম্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এরপর চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাবি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যাযয়ে সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার সময় সাম্যর সঙ্গে থাকা ঢাবির ২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রাফি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা উদ্যান থেকে বের হচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের বাইকে ধাক্কা লাগে। সেখান থেকে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। সাম্য কিছুটা অন্ধকারে ছিল, হঠাৎ তিনি চিৎকার করলে আমরা গিয়ে দেখি রক্ত ঝড়ছে। তারা ৭-৮ জনের বেশি ছিল, আমরা ছিলাম তিনজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
এসসি/এফএইচ/আরআইএস