ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা থেকে নাটোরের পথে

ব্যস্ত কল্যাণপুরে ফাও কথার সময় নাই

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
ব্যস্ত কল্যাণপুরে ফাও কথার সময় নাই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা থেকে নাটোরের পথে: হাসনা টয় কোম্পানির প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সালেক। ছোট আলো জ্বলা বলগুলোর দাম জোড়া ৮০ টাকা।

আর রাবারের সোডিয়াম আলোর মতো খেলনার দাম ৭০ টাকা। এরপর কথা এগোতে চাইলে জিজ্ঞাসা করলেন, নিবেন? উত্তর না শোনার পর কড়া ভাষায় জবাব দিলেন, ফাও কথার সময় নাই।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় ব্যস্ত কল্যাণপুরের বাস স্ট্যান্ড। খাজা মার্কেটের নিচতলায় সব বাস কাউন্টার। ঢাকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের বাসগুলো প্রধানত এখান থেকেই ছাড়ে। রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা যেতে হলে কল্যাণপুর, গাবতলী আসতে হবে।

এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর যেতে চাইলেও এদিক থেকেই যেতে হবে। তবে ঢাকার উত্তর-পশ্চিমের বাস টার্মিনাল কল্যাণপুর নয়, গাবতলী। তবে রাতে দূরপাল্লার বাসগুলো ছাড়ে মূলত কল্যাণপুর থেকে। আবার অনেক বাস ফকিরাপুল বা কলাবাগান থেকে ছেড়ে শ্যামলী, কল্যাণপুর হয়ে গাবতলী দিয়ে বের হয়।

রাতে ব্যস্ত কল্যাণপুর। হানিফ, শ্যামলী, কেয়া, নাবিল, দেশ ট্রাভেলস-এ যাত্রীদের ভিড়। অার এ ভিড়কে পুঁজি করে জমজমাট ভ্রাম্যমাণ দোকান।

শীতের এ সময়ে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য গরম কাপড়ের দোকান রয়েছে বেশ কিছু। ফুটপাথে দোকান দিয়ে বা কাঠের বহনযোগ্য হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে চলছে শীতবস্ত্র বিক্রি। হাত মোজা, কান বন্ধনী, মাঙকি ক্যাপ সবই রয়েছে এখানে।

বাস স্ট্যান্ডে ফলের দোকান থাকাটা রীতি। বাড়ি যাওয়ার সময় মানুষের ফল কেনার চাহিদাটা বাড়ে। তাই সারি সারি ফলের দোকান। তবে কমলার হালি ৬০ টাকা বলাতে বুঝলাম ফলের দাম বেশ চড়া যাচ্ছে। কমলা, আপেল, আঙ্গুর, আনারের বিক্রিই বেশি।

আমাদের অনেকেই বিদেশের শহরগুলোতে স্ট্রিট ফুডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন। আমাদের দেশেও স্ট্রিট ফুডের সমারোহ দেখা যায়। কিন্তু আমরা সেগুলোকে নিতান্তই সস্তা খাবার মনে করি।

কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সেদ্ধ ডিম বিক্রেতা রুহুল আমিন। দেশি মুরগির ডিম, কোয়েল, হাঁস, ফার্মের মুরগির ডিম সবই রয়েছে এখানে। কাঁচা, বয়েল, হাফ বয়েল সবভাবেই ক্রেতাকে সরবরাহ করেন রুহুল।

এছাড়াও স্ট্রিট ফুড হিসেবে চানাচুড় ভাজা, ঝালমুড়ি, ফুচকা, কিছু মুরগী মাংসের ভাজা, কর্ন, নুডলস বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান তো রয়েছেই। চা, রুটি, বিস্কিটের দোকান হরহামেশা ব্যাপার।

উল্লেখযোগ্যহারে বাস স্ট্যান্ডে রয়েছে ছোট ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের সমাহার। হেডফোন, স্মার্ট ঘড়ি, পাওয়ার ব্যাংক বিক্রি হচ্ছে ফুটপাথে। শুধু ভ্রাম্যমাণ দোকান নয়, হাতে করে পাওয়ার ব্যাংক বিক্রি করতে গলা হাকঁছেন অনেকেই। বোঝা যায় স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীরা কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন এই পাওয়ার ব্যাংকের উপর।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এমএন/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।