ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রার্থীর টাকায় নয়, পেটপূর্তি নিজ খরচায়!

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
প্রার্থীর টাকায় নয়, পেটপূর্তি নিজ খরচায়! ভোটের কারণে হোটেলে মানুষজনের ভিড়

উৎসবমুখর পরিবেশে তখন সবেমাত্র জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপরই ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভোটকেন্দ্রের বাইরের খাবারের হোটেলগুলোতে রমরমা ভিড়।

ময়মনসিংহ: উৎসবমুখর পরিবেশে তখন সবেমাত্র জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপরই ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভোটকেন্দ্রের বাইরের খাবারের হোটেলগুলোতে রমরমা ভিড়।

দুপুরের আহার শেষ করতেই দলে দলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের হোটেলে ভিড় করছেন।

তবে বেশিরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিজ খরচায় পেটপূর্তি করতে হয়েছে। আপ্যায়ন বাবদ জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান, সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা বাজেট খরচা না করায় তাদের মুখ বেজার। অনেকেই নিজের টাকাতেই সেরেছেন দুপুরের খাবার।

প্রার্থীরা আপ্যায়নে কৃপণতা প্রদর্শন করলেও ভোটের দিনে বিকিকিনি ভালোই হয়েছে স্থানীয় দোকানিদের। চা, পান, পুরি, সিঙ্গারা, চানাচুরসহ নানা পদের খাবারের দোকানিরাও আশানুরূপ ব্যবসা করেছেন।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের আশেপাশের বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেলো।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন থেকে এসেছেন সিদ্দিক হোসেন ও শামসুল আলম। তারা দু’জনই ইউপি সদস্য।

স্থানীয় নিউ আপ্যায়ন হোটেলে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। আলাপ গড়াতেই তারা সমস্বরে বললেন, ‘ইলেকশনের খাবার খাচ্ছি না। পেটপূর্তি চলছে নিজ খরচায়। প্রার্থীরা বড়ই কৃপণ। ’

স্থানীয় সোয়াদ নামক আরেকটি হোটেলের সামনেই ইউপি সদস্যদের নিয়ে চা পান করছিলেন সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান।

তারা মূলত এখানে অপেক্ষা করছেন দুপুরের আহারের জন্য। কিন্ত সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান না আসায় চা-পান খেয়েই সময় কাটাচ্ছিলেন।

ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী তাদের খাবারের খোঁজ নেয়নি। চা-পান খেতে ইউপি চেয়ারম্যান তাদের ১২ জনকে ২শ’ টাকা দিয়েছেন। আর যাতায়াত খরচাও চেয়ারম্যান নিজেই করেছেন।

স্থানীয় নিউ আপ্যায়ন হোটেলের মালিক কামরুল হুদা কামাল বাংলানিউজকে জানান, সাধারণত অন্যান্য নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা হোটেলের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক ভোটার, কর্মী বা সমর্থকদের খাবারের স্লিপ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার তেমনটি হয়নি। প্রত্যেকে নিজ নিজ টাকাতেই খাচ্ছেন।

ভোটের দিনে বিকিকিনি সম্পর্কে জানতে চাইলে গালভরা হাসি দিয়ে বলেন, ভোটের বিক্রি বাম্পারই বলা চলে। অন্যান্য দিনে গড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা বিক্রি হয়। আর এদিনে দুপুর নাগাদ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
এমএএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।