ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’র প্রকাশনা উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’র প্রকাশনা উৎসব ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’র প্রকাশনা উৎসব/ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল-বাংলানিউজ

বাঙালির ভোজন বিলাসের কথা কম-বেশি সবারই জানা।  খাবারের সঙ্গে এ জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সম্পর্কও নিবিড়। বিশেষ করে ঢাকাইয়া খাবারের ইতিহাস বেশ পুরনো।

ঢাকা: বাঙালির ভোজন বিলাসের কথা কম-বেশি সবারই জানা।   খাবারের সঙ্গে এ জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সম্পর্কও নিবিড়।

বিশেষ করে ঢাকাইয়া খাবারের ইতিহাস বেশ পুরনো। আর পুরান ঢাকার খাবারের সুনামতো জগৎজোড়া।

 

এবার ঢাকাইয়া খাবার নিয়ে রচিত হয়েছে ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ নামের বই। ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি লিখেছেন সাদ উর রহমান।
 
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
 
প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রের সভাপতি আজিম বখ্‌শ ও বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া।
 
স্বাগত বক্তব্য দেন ঐতিহ্য প্রকাশনা সংস্থার  প্রধান নির্বাহী ও স্বত্ত্বাধিকারী আরিফুর রহমান নাইম। অনুভূতি ব্যক্ত করেন বইটির লেখক সাদ উর রহমান।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. কামরুল ইসলাম বলেন,  ‘ঢাকার ঐতিহ্য দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। এ সময়টিতেই একটি অনন্য সংযোজন ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ বইটি’।
 
‘লেখক বইয়ে বিভিন্ন খাবারের বর্ণনার পাশাপাশি সেগুলোর আভিধানিক ইতিহাসেরও বর্ণনা দিয়েছেন। যেমন, বিরিয়ানি বা কালিয়ার কথা বলতে গিয়ে এ শব্দগুলো কোথা থেকে কিভাবে এসেছে- সে বিষয়গুলোও তুলে ধরেছেন। বইটির সাফল্য কামনা করছি’।
 
অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘শিল্পীর চিত্রকর্ম যেমন মানুষের চোখকে আকর্ষিত করে, তেমনি ভালো কোনো খাবারেও তৃপ্ত হয় আত্মা। লুপ্তপ্রায় ঢাকাই খাবারের তালিকা ও রন্ধন প্রণালী বইটিতে যুক্ত হওয়ায় হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেলো খাবারগুলো।
 
আজিম বখ্‌শ বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে হলে ঢাকাই খাবারকেও রাখতে হবে।
 
লেখক সাদ উর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ আড়াই বছরের পরিশ্রমের ফসল এ বই। ঢাকার বিলুপ্তপ্রায় খাবারগুলোকে এ বইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছি’।
 
২৪৮ পৃষ্ঠার ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪৫০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকায়। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
এজেড/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।