ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সভাপতি শফিকের প্যানেলে প্রথমবার নারী সম্পাদক প্রার্থী ফরিদা

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
সভাপতি শফিকের প্যানেলে প্রথমবার নারী সম্পাদক প্রার্থী ফরিদা শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন

জাতীয় প্রেসক্লাবের এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। তার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রেসক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রার্থী হয়েছেন ফরিদা ইয়াসমীন।

ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। তার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রেসক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রার্থী হয়েছেন ফরিদা ইয়াসমীন।

বর্তমান সভাপতি শফিকুর রহমান এর আগেও সাধারণ সম্পাদকসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইত্তেফাকের ফরিদা ইয়াসমীনও এর আগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তিনবার সদস্য পদে নির্বাচিত হন।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে দু’বছর (২০১৭-২০১৮) মেয়াদে ব্যবস্থাপনা কমিটির এ নির্বাচন।

এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকরা শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলেও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাংবাদিকরা দু’টি প্যানেল দিয়েছেন। রয়েছেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও।

সভাপতি পদে বিএনপিপন্থী দুই প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খোন্দকার মনিরুল আলম ও এম এ আজিজ। সাধারণ সম্পাদক পদেও কাদের গণি চৌধুরী ও কামরুল ইসলাম চৌধুরী আলাদা আলাদা প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন।

নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ চলছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের মাঝে। সদস্য নন- এমন সাংবাদিকরাও সমান উৎসাহে নির্বাচনে নিজ নিজ সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন।

শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেলে সিনিয়র সহ সভাপতি ও সহ সভাপতি পদে যথাক্রমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাইফুল আলম ও আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া। যুগ্ম সম্পাদকের দু’টি পদে মো. আশরাফ আলী ও শাহেদ চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কার্তিক চ্যার্টাজি প্রার্থী হয়েছেন। ১০টি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন এনায়েত হোসেন খান, কাজী রফিক, কুদ্দুস আফ্রাদ, কল্যাণ সাহা, মোল্লা জালাল, রেজোয়ানুল হক রাজা, শামসুদ্দিন আহমেদ চারু, শ্যামল দত্ত, শাহনাজ বেগম ও হাসান আরেফিন।

বিএনপিপন্থী দু্’টি প্যানেলে সিনিয়র সহ সভাপতির একটি পদে প্রার্থী হয়েছেন নূরুল আমিন রোকন ও মুহম্মদ রুহুল কুদ্দুস। সহ সভাপতির একটি পদে দুই প্যানেলের হয়ে লড়ছেন আমিরুল ইসলাম কাগজী ও সদরুল হাসান। এ পদের স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী হচ্ছেন নাজমুল আহসান ও মো. মোকাররম হোসেন।

যুগ্ম সম্পাদকের দু’টি পদে বিএনপিপন্থী দুই প্যানেলের হয়ে লড়ছেন তিনজন- আবদুল গাফফার মাহমুদ, ইলিয়াস খান ও জহিরুল হক রানা। কোষাধ্যক্ষ পদে কাজী রওনাক হোসেন ও সরদার ফরিদ আহমদ পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই প্যানেল থেকে।

১০টি সদস্য পদে বিএনপি সমর্থিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- মাঈনুল আলম, আমানুল্লাহ কবীর, গোলাম মহিউদ্দিন খান, মাহমুদা চৌধুরী, মাহমুদ হাসান, শামসুল হক দুররানী, মো. সানাউল হক, বদিউল আলম, বখতিয়ার রানা, খায়রুল আলম বকুল, গালিব হাসান, নুরুল হাসান খান, নূরুল ইসলাম খোকন, এইচ এম জালাল আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, নির্মল চক্রবর্তী, আবদুল বাসেত মিয়া, মোহাম্মদ মোমিন হোসেন, আবদুস সালাম হাওলাদার বাচ্চু, হাসান হাফিজ ও এইচ এম জালাল আহমেদ।

তিনটি প্যানেলভুক্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত দু’বছরসহ আগের বিভিন্ন মেয়াদে কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমীন প্যানেলের পাল্লা ভারি বলেই মনে করছেন অধিকাংশ সদস্য- ভোটাররা। আবার দু’টি ভিন্ন প্যানেল, এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও বিভক্ত হয়ে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতপন্থী প্রার্থীদের সমস্যায় ফেলতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।