ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শীত কম, তাই দামও কম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
শীত কম, তাই দামও কম ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক/ছবি: বাংলানিউজ

পৌষ মাসের অর্ধেক পেরুলেও দেখা নেই হিম শীতের। অন্য বছর এসময় ঠান্ডা বাতাস ঠেকাতেই হিমশিম খেতে হয়।

ঢাকা: পৌষ মাসের অর্ধেক পেরুলেও দেখা নেই হিম শীতের। অন্য বছর এসময় ঠান্ডা বাতাস ঠেকাতেই হিমশিম খেতে হয়।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে আবহাওয়ার এমন বেয়াড়াপনায় বিপাকে পড়েছেন গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরা।

শহরের ফুটপাতের ব্যবসা রীতিমতো নড়বড়ে অবস্থায়। ক্রেতা কম বলে দামও কমে গেছে শীতের পোশাকের। ফলে ছুটির দিনেও জমছে না রাজধানীর গুলিস্তান, বঙ্গবাজারের ফুটপাতের ব্যবসা।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তান, বঙ্গবাজারের সামনের দোকানগুলো কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেটসহ গরম কাপড়ে ঠাসা। তবে ক্রেতা কম।

উলের তৈরি সোয়েটার, ছেলেদের ব্লেজার, টুপি, কাপড়ের জুতো, কেডস, জ্যাকেট, ট্রাউজার, হাত ও পা-মোজা, মাফলার, চাদরসহ নানা ধরনের গরম কাপড় মিলছে ফুটপাতে। মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ এসব পণ্যের প্রধান ক্রেতা।

গুলিস্তান ফুটপাতের শীতবস্ত্র বিক্রেতা আশিক বাংলানিউজকে বলেন, সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। শীত আসেনি, তাই ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। বিক্রিও বেশি হচ্ছে না।
 
ফুটপাতে শীতবস্ত্র কিনছেন প্রীতম। বলেন, একটা চাদর দাম করছি। সাড়ে তিনশ টাকা চায় দোকানি। গতবছর এ ধরনের চাদর কিনেছিলাম ৪শ টাকায়। এবার অবশ্য ৫০ টাকা কম বলছে। তবে আমি ৩শ টাকা দাম বলেছি। দিলে কিনবো।

বঙ্গবাজারের সামনে জ্যাকেট আর সোয়েটার নিয়ে বসেছেন বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, গতবছর এ সময় এসব সোয়েটার বেচিছি (বিক্রি) ৬শ থেকে ৭শ টেকায় (টাকায়)। এবার ৫শ তেও কেউ নিতে চায় না। ৩শ-৪শ দাম মুলায়।

শীতের জন্য ফুটপাত থেকে কম্বল কিনতে আসা চাকরিজীবী ইয়াছিন জানান, তুলনামূলকভাবে এবার শীতের কম্বলগুলোর দাম কম। গতবার এসব কম্বলের দাম ছিল ৮শ থেকে ১ হাজার। এবার কিনলাম ৬শ টাকায়।
ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক/ছবি: বাংলানিউজ
আরেক দোকানি সোবহান জানান, শীত কম তাই দামও কম। আমগো বেচাকেনাও কম।

ফুটপাতের এসব দোকানগুলোতে চায়নার বিভিন্ন ধরনের শাল ও চাদরের দাম ২শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা, দেশির মধ্যে ভালো চাদরের দাম ৩শ থেকে ৪শ ৫০ টাকা। শীতের শাল ৪শ থেকে ৬শ টাকার মধ্যে। উলের তৈরি সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে ৩শ টাকায়, কাপড়ের জুতো ১শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা, জ্যাকেট ২শ থেকে ৪শ টাকা, ট্রাউজার ১শ৩০ থেকে ৩শ টাকা, গরম কাপড়ের তৈরি প্যান্ট ১শ ৫০ থেকে ৩শ ৫০ টাকা, পা-মোজা ৩০ থেকে ৮০ টাকা, হাইগলা গেঞ্জির দাম ১শ ২০ থেকে ১শ ৫০ টাকা, টুপিওয়ালা গেঞ্জি দাম ২শ৫০ থেকে ৪শ টাকা ও মাফলার পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ১শ ২০ টাকার মধ্যে। কম্বলগুলো ৬শ টাকা থেকে ৭শ টাকা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
 
এছাড়া হাতমোজা জোড়াপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কানটুপি ছোটদের জন্য ৪০ টাকা এবং বড়দের জন্য ৬০ টাকা থেকে ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, সময়, ৩০ ডিসেম্বর
জেডএফ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।