ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফুটপাত-রাস্তা দখল করে হলিডে মার্কেট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
ফুটপাত-রাস্তা দখল করে হলিডে মার্কেট রাস্তা দখল করে বসেছে দোকান-ছবি-কাশেম হারুন

ঢাকা: মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের সামনের ফুটপাত দখল করে বসেছে নানা পণ্যের দোকান। শুধু ফুটপাতই নয় স্কুলের সামনের রাস্তার অর্ধেকটাও এসব দোকানিদের দখলে। শুক্রবার হলিডে মার্কেট বসার কথা থাকলেও এখন ফুটপাতের ওপরে সব দোকানই স্থায়ী রূপ নিয়েছে। ত্রিপল আর বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছে চাল। কাঠের চৌকির ওপরে সাজানো হয়েছে মালামাল।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার আর শনিবার নেই, রাস্তা-ফুটপাতে এখন বাজার বসে প্রতিদিন।

তবে শুক্রবার পুরো রাস্তাই থাকে দোকানিদের দখলে। এক পাশে টিএন্ডটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অপর পাশে মতিঝিল সরকারি কলোনির আল হেলাল জোন। এর মাঝ দিয়ে ফোরলেন সড়কটি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পার হয়ে পীর জঙ্গির মাজার পর্যন্ত গেছে। এই সড়কেই শুক্রবার বসে হলিডে মার্কেট।

২০০৭ সালে প্রথম হলিডে মার্কেট চালু করা হয় ঢাকা শহরে। পথচারীদের জন্য ফুটপাত মুক্ত রাখার জন্যই এই পদ্ধতি চালু করা হয়। কিন্তু সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৭ সালে আবারও কয়েকটি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়।

ফুটপাত দখল করে বসেছে দোকান-ছবি-কাশেম হারুনমতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনের সড়কটিতেও প্রতি শুক্রবার বসছে হলিডে মার্কেট। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার এখানে পুরো রাস্তায় মার্কেট বসে। অন্যদিন ফুটপাত ও রাস্তার একটি অংশে দোকান বসে। রাস্তা দখল করে বসেছে থ্রি-পিস, থান কাপড়, চাদর, বিছানার চাদর, কম্বল, জুতা, টি-শার্ট, শীতবস্ত্র, ইমিটেশনের গহনা, কাচ-সিরামিকের বাসনপত্র, সিলভারের হাঁড়ি-পাতিল, লোহা-কাঠের জিনিসপত্র ও কাঁচা তরকারির দোকান।

ফুটপাত দখল করে বসেছে চা-পান-বিড়ি-সিগারেটের দোকান। এসব দোকান স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে।  

একজন মাছ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, আমি নতুন দোকান দিয়েছি। তবে দৈনিক প্রতিটি দোকান থেকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা তোলা হয়। স্থানীয় নেতারা তাদের লোকদের মাধ্যমে টাকা ওঠান বলে তিনি অভিযোগ করেন।  

হলিডে মার্কেটের এক দোকানদার বলেন, হলিডে মার্কেটে আগে টাকা দেওয়া লাগতো না। এখন দৈনিক প্রতি দোকান থেকে ১০০ টাকা তোলা হয়। এটা সরকারি কোনো ফি না, স্থানীয় নেতারা খায়। প্রতি শুক্রবার প্রায় ৫০০ এর মতো দোকান এখানে বসে বলে তিনি জানান।

রাস্তা দখল করে বসেছে দোকান-ছবি-কাশেম হারুন
 রনি নামের এক যুবক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেখছি, কলোনির বাসিন্দারা একদিকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে দোকানদারদের জীবিকাও জড়িত। সব অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।   
    
শারমিন জাহান এসেছেন মালিবাগ থেকে। তিনি বলেন, কম দামে ফুটপাত থেকে নানা সামগ্রী কেনা যায়। তাই মাঝে মাঝে এখানে আসেন কেনাকাটা করতে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এমএইচ/আরআর
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।