ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহীতে চলছে বিজয়ের ৪৮ বছর উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহীতে চলছে বিজয়ের ৪৮ বছর উদযাপন রাজশাহীতে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে বিজয়ের ৪৮ বছর উদযাপন করা হচ্ছে।

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীবাসী যেমন মেতেছেন বিজয়ের আনন্দে, তেমনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের।

বিজয় দিবসের সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরেই রাজশাহীর প্রতিটি শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে।

রাজশাহী মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পরে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শহীদ মিনারে ভোর ৬টায় প্রথমেই শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) ড. আবদুল মান্নান।

এরপর রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবদুল হামিদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ূন কবির, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়াও এখানে পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রেঞ্জ এবং জেলা আনসার, বনবিভাগ, বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও ডাকবিভাগসহ বিভাগীয় এবং জেলাপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্ক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

পরে সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আলোকসজ্জা করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রদর্শন করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও। জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। বিকেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা দেবে সিটি করপোরেশন।

এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর সরকারি প্রতিষ্ঠানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওয়ার্ড-কার্যালয়গুলো থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ এবং দেশাত্ববোধক গান।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সব সরকারি হাসপাতাল, শিশুসদন ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবেশন করা হচ্ছে উন্নতমানের খাবার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।