ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লন্ডনে বিজয় দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
লন্ডনে বিজয় দিবস উদযাপন

ঢাকা: লন্ডনে বাংলাদেশ হাই-কমিশনে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। 

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাই-কমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপনে ‘হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি-ব্রিটিশদের অবদান’- শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের অনন্য সাধারণ ভূমিকার ওপর যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেস ইভেন্ট হলে বিজয় দিবসের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী ছিল অন্যতম আকর্ষণ। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই-কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম অনুষ্ঠানে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিদেশি অতিথিদের কাছে এসব ছবির পটভূমি ও ইতিহাস তুলে ধরেন। অতিথিরা গভীর আগ্রহ নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখেন।  অনুষ্ঠান গান পরিবেশন করছেন শিল্পীরা।  এতে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশি-ব্রিটিশরা লন্ডন ও বার্মিংহামসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে যেসব আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, যেসব আলোচনা, সমাবেশ ও তহবিল সংগ্রহের আয়োজন করেছিলেন সেসব ঐতিহাসিক ঘটনার ৫৭টি আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব আলোচিত্রের বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট ব্রিটিশ আলোকচিত্রী রজার গোয়েনের তোলা।  

রজার গোয়েন বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে বেশ কয়েক বছর ঢাকা ও বরিশালসহ বিভিন্ন শহরে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেছেন। যুক্তরাজ্যে ‘রিকগোনাইজড বাংলাদেশ মুভমেন্ট’-এর সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। বেশ কিছু আলোকচিত্র নেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট বাংলাদেশি-ব্রিটিশ ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ সাংবাদিক তানভীর আহমেদ ও  বাংলাদেশ হাই-কমিশন, লন্ডনের সংগ্রহ থেকে।

বিজয় দিবসের আলোচনা সভাতেও বক্তরা ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের ভূমিকার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।  

হাই-কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, বাঙালি-ব্রিটিশ সংগঠকরা যুক্তরাজ্য থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে তারা Recognise Bangladesh Movement সহ বিভিন্ন আন্দোলন করে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।  

তিনি বলেন, আজকের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। আশা করি, এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের সামনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও এক্ষেত্রে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ভূমিকা তুলে ধরতে সহায়ক হবে।

সভায় বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- লর্ড মেয়র অব ওয়েস্ট মিনিস্টার রুথ বুশ, নিউহ্যামের মেয়র রুকশানা ফিয়াজ, বেরনেস পলা উদ্দিন, স্টিফেন টিমস এমপি, ভারতীয় হাই-কমিশনের ডেপুটি হাই-কমিশনার চরনজিত সিং, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জালাল উদ্দিন, নিউহ্যামের ডেপুটি লেফটেন্যান্ট জন বারবার ও লেফটেন্যান্ট মেই সীম লেই এবং কর্নেল মার্ক হাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। সকালে হাই-কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন হাই-কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
টিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।