ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অভিবাসী ও মানবপাচার আইনের সমন্বয় প্রয়োজন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
‘অভিবাসী ও মানবপাচার আইনের সমন্বয় প্রয়োজন’

ঢাকা: অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় অভিবাসী ও মানবপাচার আইনের সমন্বয় প্রয়োজন। ২০১২ সালে করা মানবপাচার আইন ও ২০১৩ সালের অভিবাসী আইন সম্পর্কে আইনজীবী ও অভিবাসী কেউই জানে না। গত পাঁচ বছরে এ আইনে মাত্র ৬টি মামলা হয়েছে। অভিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কীভাবে প্রতিকার পেতে পারেন, সেটাও তাদের জানা দরকার। অনেক আইনজীবীও জানেন না, এ আইন সম্পর্কে। সুতরাং এ আইনের প্রসার দরকার। 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিক: আইন ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, মানবপাচার আইন যেটা করা হয়েছে, এখানে দালাল সম্পর্কে কিছুই বলা নেই।

যাদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের সম্পর্কেই কিছু বলা নেই।

ব্যুরো অব ম্যান পাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) পরিচালক (ট্রেনিং অপারেশন) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অভিবাসনের সবচেয়ে বড় সমস্যা মিডল ম্যান বা দালাল। অধিকাংশ লোকই জানে না রিক্রুইটিং এজেন্সি সম্পর্কে। এটা না জেনেই অধিকাংশ লোক বিদেশে যায়। মানবপাচার আইন না অভিবাসন আইন, বিচারটা কোন আইনে হবে। এ দুই আইনের মধ্যে লিংকেজ দরকার। আইনের প্রয়োগ যেন সঠিক হয় সব পক্ষকে এক হওয়া দরকার।  

ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, এ দেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কোনো চুক্তিই নেই, আছে সমঝোতা স্মারক। চুক্তি ছাড়া বিদেশ যাওয়া যাবে না। চুক্তি করলে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। মেক্সিকো ও চায়না অভিবাসনের সুষ্ঠু ব্যবহার করে আজ উন্নতির শিখরে। অথচ বাংলাদেশে অভিবাসী ফেরত শ্রমিকদের কোনো সুরক্ষা নেই।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন রাহেলা রাব্বানী। আলোচনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. উত্তম কুমার দাস, ডেভকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ইমাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সারওয়াত বিনতে ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রোকেয়া রফিক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
টিএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।