ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চেয়েছিলেন আবুল মনসুর’

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চেয়েছিলেন আবুল মনসুর’

ইবি: ‘আবুল মনসুর গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি সংস্কারমুক্ত এবং স্বাধীন চিন্তার মানুষ ছিলেন। সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্ধে ছিলেন তিনি। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চেয়েছিলেন আবুল মুনসুর।’

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘আবুল মনসুর আহমদের সাহিত্যে সমাজের ধর্মান্ধতা ও শ্রেণিচরিত্র’ বিষয়ক সেমিনারে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ এসব কথা বলেন।

এসময় প্রয়াত লেখক ও প্রাবন্ধিক আবুল মনসুরের স্মরণে আবুল মকসুদ বলেন, ‘তিনি একজন ক্ল্যাসিক লেখক ছিলেন।

তার মধ্যে বাঙালিয়ানা, মুসলমানিত্বের আদর্শ ছিল। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে মনসুর আহমদের অবিস্মরণীয় অবদান ছিল। তার উপন্যাস পাঠ করা উচিত। তার লেখা ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ একটি অসামান্য বই। ’

সেমিনারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আবুল মকসুদ বলেন, ‘তরুণেরা ফেসবুকে যে সময় ব্যয় করে, সেই সময় বই পড়ায় দিতে হবে। বই পড়ার আনন্দ ফেসবুক থেকে পাওয়া যায় না। আমি নিজেও ফেসবুক ব্যবহার করি না। ’

বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও আবুল মনসুর আহমদ কনিষ্ঠ পুত্র মাহফুজ আনাম।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দিতে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সৃজনশীলতা। যাকে বলা যায়, আমাদের নতুন করে চিন্তা করার শক্তি। একসময় যে দেশ যত বেশি সম্পদশালী ছিল, তারা তত বেশি শক্তিশালী ছিল। কিন্তু বর্তমানে যারা বেশি সৃজনশীল তারা বেশি শক্তিশালী। এই চিন্তা করার শক্তিতে সাহায্য করবে আমাদের কবি, সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানীরা। ’

প্রখ্যাত লেখক ও প্রাবন্ধিক আবুল মনসুরের সম্পর্কে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আবুল মনসুর তার আমিত্ববোধ থেকে বিশ্বকে জানার চেষ্টা করেছিলেন। একই সাথে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও হাস্য-রসাত্মক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তার সাহিত্যকর্ম ছিল সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য। সমাজের মধ্যে ধর্মের নামে যারা ব্যবসা করে, তিনি সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তাদের মুখোশকে উন্মোচন করেছেন। ’

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তপন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ আলোচক হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক গাজী মাহবুব মুর্শিদ, সাহিত্যিক ইমরান মাহফুজ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।