ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরায় পুলিশের মারধরে গাড়িচালকের মৃত্যুর অভিযোগ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
উত্তরায় পুলিশের মারধরে গাড়িচালকের মৃত্যুর অভিযোগ 

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের মারধরে আলমগীর হোসেন (৩৮) নামে এক গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশের দাবি, মৃত আলমগীরের পরিবারের দাবি ভিত্তিহীন। ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে আলমগীরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।  

আলমগীরের বড়ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, আলমগীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের শেষ মাথায় ফুলবাড়িয়া এলাকায় পরিবারসহ থাকতেন।

পাশাপাশি উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরে একব্যক্তির গাড়ি চালাতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদরে। বাবার নাম মৃত নূরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। বিষয়টি জানার পর আমরা ১৭ ডিসেম্বর সকালে আমরা থানায় যাই।  

‘তখন আলমগীরকে আদালতের নেওয়ার জন্য গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। কিন্তু সে তখন খুড়িয়ে হাঁটছিল। বিষয়টি দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। কারণ আমার ভাই পুরোপুরি সুস্থ ছিল। রাতে থানায় মারধর করার কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ’

রাজ্জাক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জানতে পারি আমার ভাইকে অসুস্থ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাই।  

ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অচেতন অবস্থায় আলমগীরকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।  

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার জাহিদ বাংলানিউজকে জানান, হাজতি হিসেবে আলমগীর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। বিকেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা আলমগীরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃত অবস্থায়ই আলমগীরকে হাসপাতালে আনা হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল কালাম। তার দাবি, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টর থেকে ৮০ পিস ইয়াবাসহ আলমগীরকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলঅ দিয়ে পরের দিন আদালতে পাঠানো হয়।  

‘আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। নিহতের পরিবার নির্যাতনের যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন,’ বলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এজেডএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।