ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান

ঢাকা: ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিকিৎসক ও অন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কার্ডিয়াক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ধরনের ওষুধ যাতে বাজারে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমি জানি, এতে তাদের কিছু সময় নিতে হবে। তবে এতে সবার জন্য খুবই ভালো হবে।  

আবদুল হামিদ বলেন, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যাতে বাজারে ঢুকতে করতে না পারে এজন্য চিকিৎসকদের অবশ্যই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের তাপমাত্রা যথাযথ রাখতে ফার্মেসি মালিকদের নির্দেশ দিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের প্রতি আহ্বান জানান।  

রাষ্ট্রপতি বলেন, ৯৫ শতাংশ ফার্মেসি ওষুধ সংরক্ষণের জন্য কক্ষের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখে না।  

তিনি বলেন, এ ধরনের সার্কুলার আমাদের সবার জন্য সুফল বয়ে আনবে। এ বিষয়ে ফার্মাসিস্টদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর গুরুত্বারোপ করে চিকিৎসককে রোগীদের জন্য দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে মানসম্পন্ন ওষুধ লেখার পরামর্শ দেন।

রাষ্ট্রপতি সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় মেডিক্যাল টেস্টের নামে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।  

আবদুল হামিদ বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পল্লী এলাকায় কিছু নামকরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে কোনো কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এর দায়ভার সব চিকিৎসকের কাধেই চেপে বসে। এতে চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়। তিনি এর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রপতি নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হতে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজ পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ন না করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানান।

আবদুল হামিদ হাসপাতালের জন্য আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। এজন্য এ রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এ ধরনের প্রচারণা অনেক অকাল মৃত্যু থেকে অনেকের জীবন রক্ষা করবে। তিনি সম্মেলনে যোগদানকারী সব অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।  

তিনি বলেন, বাংলাকার্ডিও-২০১৯ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনে যোগদানকারী দেশি ও বিদেশি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের জন্য হৃদরোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার আবদুল মালিক (অব.) বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এ কে এম মহিবুল্লাহ ও মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল শফি মজুমদার, সাইন্টিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলআবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এনসি নন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।