ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় জমজমাট শীতবস্ত্রের দোকান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
বগুড়ায় জমজমাট শীতবস্ত্রের দোকান শীতবস্ত্র দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: সারাদেশে সঙ্গে বগুড়ায় তাপমাত্রা কমায় জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে শীতবস্ত্র কিনতে ভিড় করছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। দিনের শুরুটা কুয়াশায় মোড়ানো থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। তাতেও কমছে শীতের তীব্রতা। তাই শীত নিবারণের জন্য কম টাকায় শীতবস্ত্র কিনতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা ও হকার্স মার্কেট এবং রেললাইন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শীতবস্ত্রের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে কম দামে দেশি-বিদেশি পুরোনো শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন তারা।

এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতবস্ত্র  কিনতে আসছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। তারা একটি একটি করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনছেন পছন্দের শীতবস্ত্র। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। এরমধ্যে সোয়েটার ৮০ থেকে ১০০ টাকা, উলের সোয়েটার ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, শিশুদের পোশাক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, জিন্স প্যান্ট ২০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শীতবস্ত্র দেখছেন ক্রেতারা।  ছবি: বাংলানিউজধলু মিয়া, সোবহান উদ্দিন, মেরাজ, ইউসুফসহ একাধিক শীতবস্ত্র বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, বগুড়া শহরে তাদের মতো প্রায় দেড় শতাধিক ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকান রয়েছে। তারা বগুড়ার হকার্স মার্কেট এলাকা ও রেললাইনের ওপর ও ফুটপাতে ও সড়কের দু’পাশে ভ্যান করে শীতবস্ত্র বিক্রি করেন। বর্তমানে ঠাণ্ডা বাড়ায় শীতবস্ত্রের  ব্যবসা জমজামাট বলেও জানান তারা।

মৌসুম, ইমরান নামের দুই বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের দোকানে গরম কাপড় কিনতে আসেন। বেছে বেছে তারা পছন্দের পোশাকটি কিনে নেন। তবে সন্ধ্যার পর থেকে এসব দোকানে বিক্রি বাড়তে থাকে।
শীতবস্ত্র দেখছেন ক্রেতা।  ছবি: বাংলানিউজশীতবস্ত্রের ক্রেতা সোনিয়া বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন যাবত ঠাণ্ডার তীব্রতা বেড়েছে। তাই শীতবস্ত্র কিনতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে এসেছি। এখানে কম দামে পছন্দের পোশাক পাওয়া যায়। তাই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
কেইউএ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।