ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুলিস্তানে গরম কাপড়ের খোঁজে হাজারও ক্রেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
গুলিস্তানে গরম কাপড়ের খোঁজে হাজারও ক্রেতা গুলিস্তানে গরম কাপড়ের খোঁজে হাজারও ক্রেতার ভিড়। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোটা দেশ। রাজধানীতেও তীব্র শীত পড়েছে। শীতের কারণে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যস্ত নগরীর কর্মজীবীদের। এ শীত থেকে বাঁচতে তাই তারা ছুটছেন গরম কাপড়ের খোঁজে।

একদিকে ছুটির দিন, অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকায় যেন ঈদের আমেজ। ফুটপাতের দোকানগুলোতে হাজার হাজার ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে।

তাদের কেউ দরদামে ব্যস্ত, কেউ আবার পছন্দের পোশাক কেনায় ব্যস্ত। তারা সবাই এসেছেন গরম কাপড় কিনতে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে এসব চিত্রই উঠে এসেছে। এদিন দুপুর ২টার পর পরই এসব এলাকায় বসতে থাকে ফুটপাতের দোকান। বিকেল ৩টার পর পুরো জমে ওঠে বেচা-কেনা। প্রতিটি দোকানে নারী ও শিশুসহ নানা বয়সী ক্রেতার উপস্থিতি চোখে পড়ে। নিম্ন ও মধ্য আয় থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ এসেছেন গরম কাপড়ের খোঁজে।

এসব দোকানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ট্রাওজার, ফুলহাতা গেঞ্জি, দেশি-বিদেশি জ্যাকেট, ব্লেজার, বাচ্চাদের পোশাকের। বিক্রি বেড়েছে কাপড়ের তৈরি জুতা, মোজা, টুপিসহ বিভিন্ন চাদরের। এসব পোশাকের দামও রয়েছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। তাই ক্রেতারা দর-দামের পরিবর্তে পছন্দের পণ্যটি কেনায় প্রাধান্য দিচ্ছেন।

গুলিস্তান ছাড়াও মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ সংলগ্ন ফুটপাত এলাকা, শাপলাচত্বর এলাকা, মতিঝিল তেল পাম্প, পল্টন, বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকায় ক্রেতার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এসব এলাকায় ১৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া য়াচ্ছে জ্যাকেট, ৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি। হাতের কাজ করা বিভিন্ন চাদর ও শাল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে, জিন্সের জ্যাকেট ২০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। ব্লেজার পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকায়। ট্রাউজার পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।

হাতের কাজসহ বিভিন্ন চাদর ও শাল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। ৩০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে কাপড়ের তৈরি জুতা, মোজা, টুপি ও স্কার্ফ।  

অন্যদিকে, বাচ্চাদের বিভিন্ন সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ফুলহাতা গেঞ্জিসেট ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, জ্যাকেট ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।

রমিজ মিয়া রাজধানীর বাসাবো এলাকায় থাকেন। পেশায় রিকশাচালক। দু’দিন পর গ্রামের বাড়ি নাটোর যাবেন, তাই পরিবারের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছেন গুলিস্তানে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গুলিস্তানে কম দামে ভালো মানের পোশাক পাওয়া যায়। ইচ্ছা আছে এবার পরিবারে সব সদস্যের (পাঁচ সদস্য) জন্য শীতের পোশাক নেবো। কিছু কিনেছি, আরও কিছু কিনতে চাই।

গুলিস্তানে গরম কাপড়ের খোঁজে হাজারও ক্রেতার ভিড়।  ছবি: শাকিল আহমেদরেখা আক্তার একটি মোবাইল কোম্পানিতে কর্মরত। দু’ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন রেখা। তিনি বলেন, গুলিস্তানে দেশি-বিদেশি সব ধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যায়, দামও কম, তাই আসা। পরিবারের সবার জন্য কিনেছি, এবার আমারটা খুঁজছি।

রমজান আলী নামে এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন বিকেল থেকে বিক্রি শুরু হয়। তবে শীতের তীব্রতা থাকায় এখন বিক্রি বেড়েছে। আজ শুক্রবার হওয়ায় সব ধরনের ক্রেতারা এসেছেন। এখানে দেশি-বিদেশি পোশাক রয়েছে। কম দাম হওয়ায় এখানে ক্রেতা আসে সব সময়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯ 
ইএআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।