ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারী ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন যুবলীগ নেতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
নারী ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন যুবলীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে বিরোধের জেরে এক নারী ইউপি সদস্য ও তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকারের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহসিন খন্দকারের নেতৃত্বে তার লোকজন আনোয়ারে বাড়িতে গিয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

মহসিন সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

সুহিলপুর ইউনিয়নের নারী সদস্য আহত আনোয়ারার ছেলে জনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে চাচা কালু খন্দকার ও চাচাতো ভাই মহসিন খন্দকার দাবি করছে তাদের লিখে দেওয়ার জন্য। আমরা অনিহা প্রকাশ করলে প্রায় সময় আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। সন্ধ্যায় মহসিন খন্দকারে নেতৃত্বে একদল লোকজন আমাদের জায়গা দখল করতে এলে আমরা বাধা দেই। এতে তারা আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা করতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে কথা হয় যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকারের সঙ্গে। তিনি মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, আনোয়ারার স্বামী মৃত্যুর আগে তার ছোট ভাই কালু খন্দকারে কাছে জায়গায় বিক্রি করে যান। এ নিয়ে শুক্রবারে আনোয়ার বাড়িতে সালিশি বৈঠক হয়েছিল। আমরা বলেছি জায়গাটি লিখে দেওয়ার জন্য। কিন্তু রায় না মেনে আনোয়ারা ও তার দুই ছেলে চেয়ার ছুড়ে মারেন। পরে হাতাহাতি হলে আমিও ব্যাথা পাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর শুনেছি। এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।