ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পিতৃত্বকালীন ছুটি ভেবে দেখা হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
পিতৃত্বকালীন ছুটি ভেবে দেখা হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ অন্যরা।

ঢাকা: মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি ভবিষ্যতে পিতৃত্বকালীন ছুটিও দেওয়া যায় কিনা সেটি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সাভারে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নবনির্মিত ‘ভিশন গার্ডেন’র উদ্বোধন এবং বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি কর্মচারিরা যাতে স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে পারেন।

এজন্য সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে। ভবিষ্যতে মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটিও দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।

তিনি আরও বলেন, সন্তান ধারণ ও লালন-পালনের জন্য নারী কর্মীরা বেতন-ভাতাসহ বর্তমানে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন। মায়েদের মতো বাবারাও ছয় মাস না হলেও ১৫ দিন বা এক মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি চেয়ে বিভিন্নভাবে আবেদন-নিবেদন করে আসছিলেন। িএরই মধ্যে সরকারি কর্মীদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে এ প্রতিশ্রুতি এলো।  

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে দেশের সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনানুযায়ী কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিসীম। তাই, আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মত সক্ষম করে গড়ে তুলতে হলে প্রতিটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়নে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। যাতে প্রশিক্ষণার্থীরা দ্রুততার সঙ্গে সেবাদানের পদ্ধতিগুলো আয়ত্ত করতে পারে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণের সময় অর্জিত জ্ঞান সঠিকভাবে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে জনসেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, অর্থনীতি, মানব উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আর এই উন্নয়নের পেছনে দেশের সরকারি কর্মচারীদের অবদান অপরিসীম। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে সব সরকারি কর্মচারীদের আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা। তাই দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে জনসেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।

লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মো. রকিব হোসেনের সভাপতিত্বে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।