ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কানের চিকিৎসা নিতে গিয়ে অন্ধ শিশু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
কানের চিকিৎসা নিতে গিয়ে অন্ধ শিশু

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় পল্লী চিকিৎসকের কাছে কানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় শরিফুল ইসলাম নামের এক পাঁচ বছরের শিশু দৃষ্টি হারিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শরিফুল উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হুলাশু জোদ এলাকার নকিবুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, উপজেলার তিরনই হাট বাজারে বিসমিল্লাহ ফার্মেসি নামে এক মেডিসিনের দোকানে সপ্তাহের প্রতি শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতেন আইয়ুব আলী নামে এক পল্লী চিকিৎসক।

সন্তান কানে কম শোনায় খবর পেয়ে পল্লী চিকিৎসকের কাছে শরিফুলকে নিয়ে ছুটে যান মা আখঁলিমা বেগম।

আখঁলিমা বলেন, ছেলের কানের সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিতে গত ৭দিন আগে চিকিৎসকের কাছে যাই। ওই পল্লী চিকিৎসক ছেলেকে দেখার পর দুই ইনজেকশন সিরিজে পানি দিয়ে কান পরিষ্কার করে কানের জন্য ওষুধ লিখে দেয়।  কয়েক দিন ওষুধ খাওয়ার পর থেকে শরিফুল আর কানে শুনতে ও চোখে দেখতে পায় না।  আমার সন্তানের চিকিৎসা নেওয়ার আগে পুরোপুরি দৃষ্টি শক্তি ছিল।  ভুল চিকিৎসার কারণে আমার সন্তানটি আজ দৃষ্টিহীন হয়ে গেলো। বর্তমানে শিশুটি দুই চোখে দেখতে পায় না।  আমার সন্তানের ভবিষৎ অন্ধকার। আমি তার বিচার চাই।

অভিযোগের ভিত্তিতে মুঠোফোনে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তিরনই বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে বিসমিল্লাহ ফার্মেসিতে রোগী দেখে আসছি। আমার চিকিৎসায় কেউ দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছে আমার জানা নেই।  

পল্লী চিকিৎসক আইয়ুব আলী পঞ্চগড় জেলা শহরের ইসলাম বাগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি (ডিপ্লোমা ইন প্যারামেডিকেল অপটিক্র ফিজিশিয়ান দিনাজপুর) ই এন টি মাথাব্যাথা ও চক্ষু রোগী দেখেন। চক্ষু, কান ও মাথাব্যাথা চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত বলে জানান এলাকাবাসী।  

বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) কুদরত-ই-খুদা মিলন বাংলানিউজকে জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।