ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কন্যাশিশু ধর্ষণের পাশাপাশি ছেলেশিশু বলাৎকারের শিকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
কন্যাশিশু ধর্ষণের পাশাপাশি ছেলেশিশু বলাৎকারের শিকার সংবাদ সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব তাহমিনা রহমান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব তাহমিনা রহমান বলেছেন, কন্যাশিশু ধর্ষণের পাশাপাশি ২০১৯ সালে ছেলেশিশু বলাৎকারের শিকার হয়েছে ৩৭ জন।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০১৯: আসক’র পর্যবেক্ষণ নিয়ে আসক’র আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

তাহমিনা রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় ২০১৯ সালে শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।

কন্যা শিশু ধর্ষণের পাশাপাশি ছেলে শিশু বলাৎকারের অনেক ঘটনাও ঘটেছে। শারীরিক নির্যাতনের কারণে মৃত্যু, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা ও অপহরণের পর হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে নিহত হয় ৪৮৭ জন শিশু। ২০১৮ সালে নিহত শিশু সংখ্যা ছিল ৪১৯ জন। এ বছরে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয় এক হাজার ৬৬৯ জন শিশু। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ১১ জন। যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয় এক হাজার ৮৭ জন শিশু।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময় নিহত হয়েছেন ৩৫৬ জন। এরমধ্যে চলমান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন ১৮৭ জন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ-গুম ও নিখোঁজের শিকার হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে পাঁচজনের সন্ধান পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আট জন।

তিনি বলেন, এবছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিরোধী দল এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ মোট ২০৯টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব রাজনৈতিক সংঘাতে ৩৯ জন নিহত এবং আহত হন দুই হাজার ৬৮৯ জন।

এ সময় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০১৯ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র উপ-পরিচালক নিনা গোস্বামী ও আবু আহমেদ ফজলুল কবির।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, সিনিয়র উপ-পরিচালক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
পিএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।