ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কোনো নেতাকর্মী তাণ্ডব চালায়নি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কোনো নেতাকর্মী তাণ্ডব চালায়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মী তাণ্ডব চালায়নি বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান।  

সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে প্রতিনিধি দল নিয়ে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।

তাণ্ডবের ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন উল্লেখ করে হেফাজতের নায়েবে আমির সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি। কতো দুঃখ পেয়েছি সেটি প্রকাশ করার ভাষা নেই। ভাঙচুরের জন্য আমাদের কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের দাবি জানাই। কিন্তু কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন হয়রানি না করা হয়, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানাই।

মাওলানা সাজিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হরতালের দিন আমাদের নেতাদের অবস্থান শুধু মাদরাসার সামনে ছিল। যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষিদের বের করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।  

যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ-ভাঙচুর করে, তারা কোনোদিন হেফাজতে হতে পারে না। আমরা সমস্ত ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাই। এর সঙ্গে যারা হত্যকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং যারা উস্কানিদাতা তাদেরও চিহ্নিত করা দরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা আলী আজম, মাওলানা বোরহার উদ্দিন কাসেমী, নোমান হাবিবী, মুফতি এনামুল হাসান, জাকারিয়া, মাওলানা তানভীর আহমেদ ও মুফতি এরশাদুল্লাহ কাসেমী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও ভাঙচুর এবং ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিরের ওপর হামলা চালায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।