ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লকডাউনে বরিশালে ৪৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২১
লকডাউনে বরিশালে ৪৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা লকডাউনে বরিশালে ৪৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

বরিশাল: লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় বরিশালে ৪৪ ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (০৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের লঞ্চ ঘাট, সদর রোড, হাসপাতাল রোড, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, কাশিপুর বাজার, চৌমাথা বাজার, বটতলা বাজার, জিলা স্কুল মোড়, মেডিক্যাল মোড়, আমতলার মোড়সহ বিভিন্নস্থানে এ অভিযান চালানো হয়।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দারের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমূল হুদা, মো. আতাউর রাব্বী ও মো. মারুফ দস্তগীরের পৃথক তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানকালে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য জনসাধারণকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এ সময় সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে যারা অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রেখেছেন এবং মাস্ক ব্যবহার না করে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  

জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, নগরের এই অভিযানে ৬টি প্রতিষ্ঠান ও ৭ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ১১ হাজার ৮৮০ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমূল হুদা। পাশাপাশি অন্য একটি অভিযানে ৫ জন ব্যক্তিকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা অর্থদণ্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রাব্বী। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ দস্তগীর ১৩ জন ব্যক্তিকে ২ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা করেন।  

অভিযানে বরিশাল র‌্যাব-৮ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের দু’টি টিম আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহায়তা দেন।

অপরদিকে, আগৈলঝাড়া উপজেলায় নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তিকে ১০ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।

তবে এসব অভিযানের পরও করেনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন ঢিলেঢালাভাবে চলছে বরিশালে।  

শহরের প্রধান প্রধান সড়কে অনুমোদন ব্যতিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্ধেক সাটার খুলে এসব দোকানের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এদিকে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও নগরের বিভিন্ন স্থানে রিকশাসহ থ্রি-হুইলার যানবাহন চলতে দেখা গেছে, যাতে স্বাভাবিক দিনের থেকে ভাড়াও দ্বিগুণ রাখা হচ্ছে। এককথায় আজ গোটা নগরে থ্রি হুইলারের রাজত্ব ছিলো একচেটিয়া। আর খোলা স্থানে বাজার পরিচালনা করার কথা থাকলেও সেটিও মানছেন না কেউ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
এমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।