ঢাকা: রাজধানীর মেরুল বাড্ডার একটি বাসা থেকে জহিরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে পশ্চিম মেরুল বাড্ডার একটি বাসার সাততলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয় কথা হয় মৃত জহিরুলের ভাই নজরুল ইসলাম সঙ্গে। তিনি জানান, পুরান ঢাকার ওয়ারী জুগিনগর লেনের স্থানীয় বাসিন্দা তারা। জহিরুল অফিস ডিজাইনের কাজ করতেন। তার অফিস ছিল মেরুল বাড্ডায়। তার স্ত্রী এক বছর ধরে আমেরিকা থাকেন। গত বছর লকডাউনের পর থেকে জহিরুল অফিসেই থাকতেন। কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছুই জানা নেই। তবে শুনেছিলাম তার ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না।
জহিরুলের ম্যানেজার মাসুদ আলম জানান, ওয়ারিতে আমাদের একটি অফিসের ডিজাইনের কারখানা আছে। আমি সেখানেই থাকি। গত ৩০ মার্চ রাতে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তার জয়পুরহাট যাওয়ার কথা ছিল। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে বাড্ডার বাসার বাড়িওয়ালা ফোন দিয়ে বলেন তোমার বসের রুম থেকে কেমন যেন গন্ধ বের হচ্ছে। রাতে সেখানে গিয়ে দরজা খোলা দেখতে পাই। পরে তার আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশে খবর দিই। রুমের ভেতরে ঢুকে জহিরুল ইসলামকে ফ্যানের সঙ্গে চাদর দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল আলম সুরতহাল রিপোর্ট উল্লেখ করেন, সোমবার রাতে খবর পেয়ে পশ্চিম মেরুল বাড্ডার একটি বাসার সাততলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করি। এ সময় মরদেহটি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মরদেহটি পচে-গলে গিয়েছে। নাক, মুখ ও কান দিয়ে পোকা বের হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ৩১ মার্চ সকাল ৮টার পর থেকে যেকোনো সময় জহিরুল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবুও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
এজেডএস/ওএইচ/