ঢাকা, রবিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাইরে বের হতে নগরবাসীর নানা ছুঁতো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২১
বাইরে বের হতে নগরবাসীর নানা ছুঁতো

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরের বাইরে বেরুতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।

প্রয়োজনের বাইরেও নানা ছুঁতোয় নগরবাসীর বাইরে বেরুনো ঠেকানো যাচ্ছে না কিছুতেই।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে সরকারি নির্দেশনা মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে নির্দেশনা অমান্যের দায়ে ২৫ জনকে ১২ হাজার ১০০ জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযানের সময় বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করে র‌্যাব।

অভিযানের সময় শাপলা চত্বর এলাকায় একটি গাড়ি থামিয়ে কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। গাড়িতে থাকা ব্যক্তির উত্তর, ‘পাখির খাবার আনতে’।

ম্যাজিস্ট্রেট বললেন, লকডাউনের কথা বলেতো সময় দেওয়া হয়েছিল, তখন কী করেছেন? তখন ওই ব্যক্তির উত্তর, ‘অন্য কাজ ছিল বের হতে পারিনি’। পরে ওই ব্যক্তিকে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

অপর একজনকে থামালে ম্যাজিস্ট্রেটের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ব্যাংকে যাচ্ছেন ডেবিট কার্ড তুলতে যাচ্ছেন। অথচ ব্যাংক থেকে তাকে আরও সপ্তাহখানেক আগে ডেবিট কার্ড নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল।

অভিযানের এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় একজনের। প্রাইভেটকারে মধ্যবয়স্ক দুই ভাই পাশাপাশি সিটে বসে যাচ্ছিলেন। তারা গাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসেননি বলে তাদের একজনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। জরিমানা নিয়ে তর্কে জড়ালে তার জরিমানা দিগুণ করা হয় এবং অনাদায়ে আট দিন জেলে রাখার নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানে টঙ্গী থেকে মোটরসাইকেলে করে শরীয়তপুর যাওয়া এক ব্যক্তিকে মাস্ক না পরায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তার অজুহাত হেলমেট থাকায় মাস্ক পরেননি তিনি।

শরীফুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ী যাচ্ছিলেন বিআরটিএর ইক্যুরিয়ার দপ্তরে। সেখানে তার ডিজিটাল নম্বর প্লেট নেবেন। তবে এই কাজটি জরুরি মনে না হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট তাকে এক হাজার টাকা অনাদায়ে সাত দিনের জেল দেন।

অভিযানের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, যারা মাস্ক না পরে বের হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব মানেননি তাদের সচেতন করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে। অনেকেই লকডাউনে বিনা কারণে অথবা জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। তাদের সচেতন করা হচ্ছে যাতে তারা বাইরে না আসেন। জরিমানা করাই র‌্যাবের উদ্দেশ্য নয়, র‌্যাবের উদ্দেশ্য করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।