ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

নিরোর বাঁশি এবং মন্ত্রীর আকাশে হাঁটা

নঈম নিজাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
নিরোর বাঁশি এবং মন্ত্রীর আকাশে হাঁটা

জনগণ ও শাসকের সম্পর্ক বড় বিচিত্র। রোমান ইতিহাসে সম্রাট নিরোর কাহিনী পড়লে এখনো অনেক প্রশ্নের জবাব মেলে না।

নিরো ছিলেন এক পাগলাটে শাসক। নিষ্ঠুর এই শাসক কবিতা লিখতেন। ভালো অভিনয় করতেন। বাজনার প্রশংসা তো ছিলই।

রোম যখন পুড়ছিল এই নিরোই নিশ্চিন্তে বেহালা বাজাচ্ছিলেন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, বাঁশি বাজাচ্ছিল নিরো। ওই যুগে বাঁশের বাঁশি ছিল কিনা জানি না। তবে বেহালা ছিল না। সেই সময় ছিল লায়ার নামে এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র। নিরো সম্ভবত তা-ই বাজাচ্ছিলেন।   বাঁশি, বেহালা, লায়ার যাই হোক নিরো একটা কিছু বাজাচ্ছিলেন।

কথিত আছে সম্রাট তার প্রাসাদের বিশালত্ব বাড়াতেই জমি চেয়েছিলেন রোমবাসীর কাছে। কিন্তু রোমবাসী জমি দেননি। তারা রাজাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, জমিগুলো তাদের বেঁচে থাকার সম্বল। রাজা জনগণের কথা কানে তোলেননি। কারণ রাজার দরকার প্রাসাদের সৌন্দর্য বাড়ানো।

এর মধ্যে আগুন লাগে রোম নগরীতে। দাউ দাউ আগুনে পুড়তে থাকে গোটা রোম। মানুষের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ভিড় জমান রাজবাড়ির সামনে। রাজকর্মচারীরা তাদের তাড়িয়ে দেন। সম্রাটের কানে যায়নি মানুষের আর্তনাদ। কারণ নিরো ব্যস্ত তখন বাজনা নিয়ে। সম্রাট জানতেন রোম পুড়ছে। আর আগুন লাগিয়েছে তারই লোকজন।

আগুন নিভলে সম্রাটের বাজনাও থামল। তিনি ঘটনাস্থলে গেলেন। হাত বাড়িয়ে দেন সাহায্যের। কিন্তু এতে আশ্বস্ত হননি ক্ষুব্ধ মানুষ।

শুধু রোম পোড়ানো নয়, সম্রাট নিরোর ব্যক্তিগত জীবনে আরও অনেক নিষ্ঠুর অধ্যায় ছিল। ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতায় বাধা দেওয়ায় তিনি খুন করেছিলেন নিজের মাকে। অথচ এই নিরোই প্রথম জীবনে অনেক জনহিতকর কাজের জন্য প্রজাদের প্রশংসা পেয়েছেন। নিরো সব সময় আশা করতেন জনগণ তার পাশে থাকবে। তিনি যা খুশি করবেন তা তারা মেনে নেবে।

রোমান সম্রাটের শেষ পরিণতি ছিল জনগণের কঠিন তিরস্কার ও প্রতিবাদ। এই তিরস্কার সহ্য করতে পারেননি নিরো।   তাই বেছে নেন আত্মহননের পথ। এরপরও রোমবাসীর একাংশ শোক প্রকাশ করেছিলেন নিরোর জন্য।

শুধু জনগণ নয়, শাসকদের মনও বিচিত্র হয়। ক্ষমতায় আসার আগে এক। আসার পর আরেক। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর হাওয়া ভবনের কিছু বালক কর্মচারীর দাপট দেখেছি। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে শুরু করে মিডিয়া অফিসেও যা খুশি তা করেছেন। ক্ষমতা হারানোর পর কে কোথায় আছেন তার হদিস জানি না। ক্ষমতা এক কঠিন জিনিস। ক্ষমতা থাকাকালে সাধারণ কর্মচারীরও নিজেকে মনে হয়, ভয়ঙ্কর দাপুটে। মন্ত্রী-এমপিরা নিজেদের কল্পনা করেন সম্রাট নিরো হিসেবে। ক্ষমতা হারানোর পর তারা ফকিরে পরিণত হন।

৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পরের কথা। মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে নতুন করে। গুলশানে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে। আয়োজকরা আমাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পরে বুঝেছি আলাউদ্দিন নাসিমও আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর পেছনের নায়ক।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা, পুলিশের টপ বসদের ছড়াছড়ি। মিডিয়াতে আমাকে ছাড়া কাউকে পেলাম না। একটু অস্বস্তি নিয়ে বসলাম। কাউকে কিছু না বলে কেটে পড়ার চিন্তা করছিলাম। কিছুক্ষণ পর তা করেছিও।

বের হওয়ার আগ মুহূর্তে হলো এক অভিজ্ঞতা। হঠাৎ দেখলাম প্রবেশ করলেন একজন প্রতিমন্ত্রী। আগে থেকে আরেকজন প্রতিমন্ত্রী বসা ছিলেন। যিনি বসা ছিলেন তিনি অনেক দিন থেকে এমপি, আগের পাঁচ বছরও প্রতিমন্ত্রী। দলের নেতা-কর্মীদেরও গ্রহণযোগ্য নেতা। নবাগত প্রতিমন্ত্রীর কথা আলাদা।

হঠাৎ দেখলাম নবাগতকে সবাই দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। কেউ কেউ দিচ্ছেন ফুল। পাশে বসা সবাই দাঁড়ালে একজনের বসে থাকা সামাজিকতা নয়। তাই আমিও বসে থাকতে পারলাম না। বুঝে না বুঝে ওঠে দাঁড়ালাম। সামাজিকতা বটে!

কিন্তু আমি খেয়াল করলাম প্রতিমন্ত্রীর চোখ মাটিতে নয়, আশপাশ নয়, আসমানের দিকে। বাড়ির ভিতরে আকাশ নেই। তাই ছাদের দিকে। তিনি তাকাতে পারছেন না। মাটিতে পা পড়ছে না। সবার সঙ্গে হাত মেলাতে কষ্ট হচ্ছে। চোখে-মুখে কৃত্রিমতা। কথা বলতে পারছেন না। এ ধরনের মানুষের সামনে আমি বসতে পারি না। তাই দ্রুত কেটে পড়লাম। পরে শুনলাম শুধু আমার নয়, আরও অনেকেরই চোখে পড়েছে এই প্রতিমন্ত্রীর আকাশে হেঁটে চলা।

জীবনে পেশাগত কারণে অনেক মন্ত্রী দেখেছি। ক্ষমতার পালাবদল দেখেছি। ওয়ান-ইলেভেনে সেনা কর্মকর্তাদের আকাশে হেঁটে চলা দেখেছি। ক্ষমতা হারানোর পরের সর্বনাশগুলোও কম দেখিনি। একটা জিনিস দেখলাম কারও শিক্ষা হয় না। ক্ষমতা কখনো চিরস্থায়ী নয়। অথচ ক্ষমতায় থাকাকালে কেউ তা বোঝেন না। ক্ষমতা হারানোর পর টের পান। আমার মনে পড়ল খনার একটি বচন। খনার আসল নাম লীলাবতি। জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এই নারী ছিলেন ৮০০ থেকে ১১০০ সালের যে কোনো সময়ের কবি। কবিতার মতো করে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী লিখতেন। কৃষকরা তা সংগ্রহ করে সেই অনুযায়ী ফসল ফলাত।

ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে। আমার বাবার এক চাচাতো ভাই নাম ইউনুস ভূইয়া। কাচারি ঘরের বারান্দায় বসে তিনি সুরেলা কণ্ঠে পুঁথি পাঠ করতেন। আওড়াতেন খনার বচন। আমি ছিলাম নীরব শ্রোতা। এজিদের কাহিনী পড়তেন। কারবালার শোকে স্তব্ধ হয়ে যেতাম। একবার তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি জোরে জোরে পড়েন, অথচ কেউ শোনে না কেন? তিনি বললেন, আমি পড়ি নিজের আনন্দের জন্য। তোর শোনাটা তুই শোন। আর তুই শুনিস তোর ভালো লাগে বলে। অন্যদের ভালো লাগে না বলে শোনে না। সেই চাচার কাছে শোনা খনার একটি বচন এখনো মনে আছে। ‘পূর্ণিমা অমাবস্যায় যে ধরে হাল। তার দুঃখ সর্বকাল। তার বলদের হয় বাত। নাহি থাকে ঘরে ভাত। খনা বলে আমার বাণী। যে চষে তার, প্রমোদ গণি। ’

পূর্ণিমা অমাবস্যাতে হাল চালনা করতে নেই। ওই দুই দিন যে হাল চালায় তাকে চিরদিন কষ্ট পেতে হয়। বাতে সেই কৃষকের বলদ কষ্ট পায়। তার গৃহে অন্ন সংস্থান হয় না। ক্ষমতা থাকাকালে যারা বাড়াবাড়ি করে তাদের পরিণতি ভালো হয় না। ক্ষমতা এক ঠুনকো বিষয়। ক্ষমতা আজ আছে কাল নেই। কিন্তু মানুষের জীবনের গতিপথ অন্যরকম। মানুষ বাস্তবতা বোঝে না ক্ষমতা ও টাকার অহঙ্কারে।

এরশাদ আমল থেকে অনেক মন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখে আসছি। নিজের বন্ধুরাও কেউ কেউ মন্ত্রী ছিলেন, আছেন। এখনো আড্ডায় আসরে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। অনেক সিনিয়র ও শ্রদ্ধাভাজন মন্ত্রী এখনো যখন তখন ফোন করেন। আমিও তাদের কাছে যাই। কথা হয়। দেখা হয়। শেয়ার হয় অনেক কিছুর। অনেকের সঙ্গে আড্ডাও হয়। কিন্তু সরকারের এই মেয়াদে কিছু কিছু প্রতিমন্ত্রীর দেমাকে পা পড়ে না মাটিতে। তারা হাঁটেন আকাশ দিয়ে। তারা বাস্তবে নেই। কারণ জয়ী হয়েছেন বিনাভোটে। প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন রহস্যের বেড়াজালে। তাই জনগণ কি জিনিস তা তারা বোঝেন না।

শুধু প্রতিমন্ত্রীরা নন, অনেক এমপিরও রূপকথার গল্প শুনি। তারা যা খুশি তা করছেন। সবাই গডফাদার হতে চান। অর্থ ও ক্ষমতা দুটি একসঙ্গে হলে সর্বনাশ হয়ে যায়। অনেকে দিশাহারা হয়ে যান। বর্তমানে কারও কারও অবস্থা তাই। সরকারকে তারা দাম্ভিকতার যুগে নিয়ে গেছে। কিন্তু কোনো অহমিকার পরিণতিই ভালো হয় না। এখন সরকারের ভিতরে-বাইরে অনেক সংকট। ঘুণ পোকার আক্রমণ। ভালো পরামর্শকের অভাব এবং খারাপ পর্ষদের কারণে রাজার সর্বনাশ হয়।

এরশাদের পতনের পূর্ব মুহূর্তে একদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেখা হয়েছিল দুই মন্ত্রীর সঙ্গে। তারা সমাবেশ করছিলেন। মন্ত্রীপাড়ায় এ দুই মন্ত্রী সামনাসামনি বাড়িতে থাকতেন। দুজন চমৎকার মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে আমার ঘনিষ্ঠ। তখন তারা বলেছিলেন, সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের আন্দোলনে কিছু হবে না। সারা দেশ শান্ত। শুধু ঢাকা শহরে কিছু লোক হৈচৈ করলেই হলো? দুদিন পরই ক্ষমতা থেকে তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল। শুধু বিদায় নয়, পালাতে হয়েছিল। পরিবার-পরিজন বিপদে পড়েছিল। পরে তারা আটক হন। কারাভোগ করেন। কারামুক্তির পর তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম আমি। এখনো মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে আড্ডায় পুরনো কথাগুলো মনে করিয়ে দিই। ইতিহাস নিষ্ঠুর। ইতিহাস করুণ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা আছে। কিন্তু সাফল্য কোনো অংশে কম নয়। অনেক ভালো কাজ আছে। সরকার প্রধান দিন-রাত কাজ করছেন। কষ্ট করছেন। মন্ত্রী ও সরকারের দায়িত্বশীল অনেকেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পরিশ্রম করছেন। সততা, নিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের প্রশংসা আজ দেশ-বিদেশে। বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তির জন্যই প্রধানমন্ত্রীর পরিবার অনেক ত্যাগ করছেন। আমাদের গর্ব হাউস অব কমন্সে অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একের পর এক পুরস্কার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। একটা ভালো ইমেজ তৈরি হচ্ছে। আমরা শেখ হাসিনার এ ইতিবাচক বাংলাদেশকে দেখতে চাই। দ্রুত বাস্তবায়ন চাই প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া বিশাল উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। কিন্তু সর্বনাশ করে দিচ্ছেন কিছু লোক। যারা আইনের শাসন ব্যাহত করছেন। দুর্নীতি-অনিয়মে রাখঢাক করছেন না। তাদের আচরণ যেন সবকিছু করার লাইসেন্স রয়েছে। অথচ কাল ভোট হলে এদের অস্তিত্ব থাকবে না। এমনকি শেখ হাসিনার অধীনে ভোট হলেও অনেককে পাওয়া যাবে না। ভোটের আগেই জনরোষে পড়তে পারেন কেউ কেউ।

অনেকে পড়বেন দলের বঞ্চিত কর্মীদের রোষে। কারণ তারা কর্মীদের দিকেও তাকান না। নিজেরা আয় করেন, ক্ষমতা ভোগ করেন পরিবার ও গোষ্ঠীগত কায়েমী কিছু মানুষকে নিয়ে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে অনেকে এলাকায় যেতে পারতেন না। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানেন, কত মন্ত্রী-এমপিকে পাহারা তাদের দিতে হয়েছিল। ঢাকা আনতে হয়েছিল বিশেষ ব্যবস্থায়। ওরা কারা সরকার প্রধান জানেন। আশা করছি, ওদের লাগাম টানা হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই তা করা হবে।   অন্যথায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল ও সরকার। ব্যাহত হবে উন্নতি ও সমৃদ্ধি। ম্লান হবে শেখ হাসিনার উন্নয়ন সাফল্য।

পাদটীকা : শিকারে যাবেন রাজা। কিন্তু বের হওয়ার মুহূর্তেই মেজাজ হলো খারাপ। কারণ সামনে দাঁড়িয়ে আছে হোজ্জা। রাজা সিপাইদের বললেন, চাবুক মেরে হোজ্জাকে সামনে থেকে সরাও। আজ তার মুখ দেখে বের হচ্ছি। কী আছে কপালে জানি না। শিকার পাব বলে মনে হয় না। রাজার হুকুম বলে কথা। সিপাইরা চাবুক মেরে সরিয়ে দিল হোজ্জাকে। শিকারে গিয়ে কাজ হলো। ভালোই শিকার পেলেন রাজা। ফিরলেন খুশি মনে। প্রাসাদে ডাকা হলো হোজ্জাকে। রাজা বললেন, হোজ্জা সকালে তোমার মুখ দেখে ভাবলাম দিনটা খারাপ যাবে। কারণ তুমি অশুভ। কিন্তু শিকারে গিয়ে বুঝলাম তুমি অশুভ নও। হোজ্জা বিনীতভাবে হাসলেন। বললেন, রাজা মশাই আপনি আমাকে দেখে অনেক শিকার পেলেন।   কিন্তু আপনাকে সকালে দেখে আমি পেলাম চাবুক। ভেবেছিলাম আপনার মুখ দেখে দিনটা শুভ হবে। কিন্তু না, আপনার মুখ দেখেই আমি খেলাম পিটুনি। আর আমার মুখ দেখে আপনি পেলেন শিকার। বুঝে নিন কে কার জন্য অশুভ।

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।