ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

‘দ্য কান্ট্রি অব ফার্স্ট বয়েজ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
 ‘দ্য কান্ট্রি অব ফার্স্ট বয়েজ’ ভিকারুননিসা নূন কলেজে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ছবি: জিএম মুজিবুর

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু চমকপ্রদ পরিসংখ্যান ও দৃষ্টান্ত হাজির হয়েছে। প্রতি বছরই ফলাফল পর্যালোচনায় বিশেষ কিছু দিক সামনে চলে আসে। কখনো জিপিএ প্রাপ্তের বন্যা বয়; কখনো ধস নামে। এবার বলা হলো, ‘পাসের হার কমার কারণ খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন’। ফলাফলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাবে না জিপিএ-৫ শিক্ষার্থী!’

বাংলানিউজ সারা দিনই রেজাল্টের নানা তথ্য ও বিশ্লেষণ দিয়েছে। কেন ও কোন বোর্ডে ফল বিপর্যয় হয়েছে, সে রিপোর্ট এসেছে।

মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসা প্রশাসনের তুলনা করা হয়েছে। বিভিন্ন কলেজের সাফল্য ও ব্যর্থতার চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা যে অন্যান্য বারের মতো এবারও ভালো ফল করেছে, সে তথ্যটিও ওঠে এসেছে। মাদ্রাসা বা কারিকরি শিক্ষার চিত্রটিও বাদ যায় নি।

দ্য কান্ট্রি অব ফার্স্ট বয়েজঅত্যন্ত নেতিবাচক যে খবরটি এবারও আছে, তা হলো ভালো ফল করতে না পারায় আত্মহননের দুঃখজনক ঘটনা। শুধু ভালো ফলই যে জীবনের একমাত্র বিষয় নয়, একবার ভালো ফল না করেও যে পরে ভালো করার সুযোগ আছে, এ কথাটি অভিভাবক বা শিক্ষক, কেউই হতভাগ্য শিক্ষার্থীকে বুঝাতে পারেন নি। রেজাল্টের খারাপ চিত্র অনেকের জীবনের চিত্রটিকেও খারাপ করে ফেলে। কারো কারো জীবন প্রদীপই নিভিয়ে দেয়। এমনটি কখনোই কাম্য হতে পারে না।

ভালো ফল করলেই যে ভালো বিষয়ে ভর্তি হওয়া যাবে বা জীবনে ভালো করা যাবে, এমনটি নয়। দেখা গেছে, ভালো জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো বিষয়ে সুযোগ না পেয়ে ঘুরছে। ফলে জীবনের জন্য পরীক্ষার ফল গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর জন্য হতাশ বা আত্মঘাতী হওয়ার কোনও কারণ নেই। সামনে আরও অনেক পরীক্ষায় ভালো করার বহু সুযোগ থাকছেই।    

ফলাফলের উচ্ছ্বাস ও হতাশার মাঝখানে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, শুধু ভালো রেজাল্টই জীবনের সাফল্য-সূচক নয়। সার্থক শিক্ষা জীবন শেষে সঠিক পেশাক্ষেত্র বেছে নেওয়াটাই শেষ কথা। শিক্ষা পরিকল্পনাকারী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সকলকে এ দিকেই মনোযোগী হওয়া দরকার। কেননা, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার অনিশ্চয়তায় কতজন পছন্দের বিষয় পাবে, তা সুনির্দিষ্ট নয়। পেলেও চাকরি ক্ষেত্রে তাদের কি অবস্থা হবে, সেটাও আগে-ভাগে বলা যাচ্ছে না। শিক্ষাব্যবস্থাকে এজন্য মনোযোগী হতে হবে। যাতে ভালো ও মন্দ ফল করা শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে শিক্ষাজীবন পাড়ি দিয়ে পেশাজীবনে প্রবেশ করতে পারে। শুধু ভালো ছাত্ররাই সুযোগ পাবে; অপেক্ষাকৃত খারাপরা বঞ্চিত হবে, এমনটি হলে শিক্ষার সুযোগ ও সাম্য ন্যায়সঙ্গত হয়েছে বলা যাবে না।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল অধিক নম্বর প্রাপ্ত বিদ্যার্থী উৎপাদন করা নয়, বরং  শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য। শিক্ষার গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ দার্শনিক বক্তব্যও এমনই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও শিক্ষাব্রতে এই দর্শনকেই অনুসরণ করতে হয়। শিক্ষার্থীদের এই বিশ্বাসের ভিত্তিতেই বিদ্যার্জনে উৎসাহ দিতে হয় যে, নম্বর গুরুত্বপূর্ণ হলেও সব নয়, কখনো খারাপ করলেও পরে ভালো করা যায় এবং এজন্য হতাশ হতে নেই। বরং সৎ, পরিশ্রমী, আনন্দময় জীবন ধারণ করে শিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়াটাই জরুরি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা দরকার, কেবল শিক্ষায় নয়, সব বিষয়েই ‘ফার্স্ট বয়’দের নিয়ে মাতামাতির আড়ালে বহু মানুষের ধারাবাহিক বঞ্চনার প্রতি ঔদাসীন্য নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকেও পীড়া দিয়েছে, যা তিনি তাঁর সাম্প্রতিকতম গ্রন্থ ‘দ্য কান্ট্রি অব ফার্স্ট বয়েজ’-এ উল্লেখ করেছেন। যদিও সকলের প্রতি সমস্নেহ বাস্তবিক ক্ষেত্রে সব সময় সম্ভব নয়, তথাপি, এই বিশ্বখ্যাত লেখক স্নেহ-সাহচর্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সাম্যের আলোকোজ্জ্বল উপমা পৌঁছে দিয়েছেন। কোনো একজন শিক্ষার্থীকেও হতাশা বা অসফলতার পথে যেতে দেন নি। সবাইকে স্বকীয় যোগ্যতায় বিকাশের পথ দেখিয়েছেন সর্বশক্তি দিয়ে।

শিক্ষাক্ষেত্রে এমন আদর্শ অধুনা প্রায়-বিলুপ্ত। শিক্ষা বর্তমান বৈশ্যযুগে বাণিজ্যিক বিপণনের বস্তুতে পরিণত হয়েছে এবং শিক্ষকরাও ছাত্রদের পাঠ-পরবর্তী জীবন সম্পর্কে উদাসীন। ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধায় নামে একজন গবেষক তার ‘শূন্য পেলেও চলবে: বয়ঃসন্ধির সমস্যা ও আরো কিছু কথা’ শীর্ষক গ্রন্থে বহু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “লালয়েৎ পঞ্চবর্ষানি দশবর্ষাণি তাড়য়েৎ, প্রাপ্তে তু ষোড়শবর্ষে, পুত্রং মিত্রবদাচরেৎ”, এই সংস্কৃত শ্লোকটি আজকাল শিক্ষার্থীদের বললেই ওই ‘তাড়য়েৎ’টিকে বাদ দিতে হবে। চলতি জীবন প্রতিপদে এই রূঢ় বাস্তবতার প্রমাণ দিচ্ছে। প্রতিদিনের সংবাদপত্রে এবং আমাদের প্রায় সকলেরই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এমন ঘটনা বিরল নয়, যেখানে বাবা-মা সামান্য গলা তুলেছেন বা ইচ্ছাপূরণে বাধ সেধেছেন বলেই কেবল পৃথিবী ত্যাগ করার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে দু’বারও ভাবেনি একটি ছেলে বা মেয়ে। মা-বাবার কাছ থেকে এই যুগের সন্তানেরা কেবল ’লালয়েৎ’ টুকুই আশা করে, আর বাবা-মায়েরা প্রবল (ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষতিকারক) অপত্যস্নেহে সন্তানদের সকল অন্যায় চাহিদা, দাবি ও আবেগকে প্রশ্রয় দিতে থাকেন সন্তানের কেরিয়ার ঠিক রাখার অন্ধ বাসনায়। জন্মের অব্যবহিত পর থেকে, সন্তানদের তরফে এখন বাবা-মায়েদেরই বরং ওই ‘তাড়য়েৎ’ প্রাপ্তি ঘটছে বলা চলে।

প্রতীকী ছবি অথচ আজ থেকে তিরিশ-চল্লিশ বছর আগেও ছবিটা অন্যরকম ছিল। স্কুলে শিক্ষকরা বকাঝকা দিলে আলাদা করে ভাবার দরকার পড়ত না। তবে হাল আমলে, আদর্শবাদীদের স্থলে নির্যাতনমনস্ক ‘শিক্ষক’ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাবার দরকার হচ্ছে বৈকী। তখন স্কুল থেকে অভিযোগ এলে আগে প্রবল শাসন, তারপর না হয় শোনা যাবে কার দোষ ছিল।

নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে একটা দিকবদল ঘটল। উদার অর্থনীতির খোলা বাতাস আর আকাশ সংস্কৃতির অবাধ ধাক্কায় নড়ে গেল চিরায়ত মূল্যবোধ, পারিবারিক কাঠামো ও আর্থ-সামাজিক বিন্যাস। যদিও সজীব ও স্ফীত হলো সাংসারিক সাচ্ছল্যবৃদ্ধি, তথাপি বাবা, মা দু’জনেই বাধ্য হলেন কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হতে। ফলে ‘কনজিউমারিজম’-এর বাড়বাড়ন্তে ‘কোয়ালিটি টাইম’ সন্তানের বদলে পেয়ে গেলো ‘মার্কেট’ বা ‘কর্পোরেট’গণ। শিশুমনের জেদ-মান-অভিমান-রাগ-আশা ইত্যাদি হাজারো ইস্যু নিয়ে মাথা ঘামানোর অবসর অভিভাবকদের রইল না।

অন্যদিকে নিজেদের অপূর্ণ আশা সফল করতে বাজার-চলতি অভিভাবকরা চেপে ধরতে লাগলেন সন্তানদের। অধিক চাপ ও মানসিক সঙ্কট মোকাবেলা করতে না পেরে এক সময় সন্তান হতাশ, অস্থির, নেশাগ্রস্থ, অমনোযোগী এবং পরিশেষে পরাজিত ও আত্মঘাতী। বাবা, মা হায় হায় করতে করতে যখন দৌঁড়ে যাচ্ছেন মনোবিদের কাছে, তখন সব শেষ। আদর্শবাদিতার অনুসরণের বদলে উগ্র প্রতিযোগিতার কারণে গোড়াতেই হেরে বিপর্যস্থ হচ্ছে বহু সন্তান ও তাদের মা, বাবা, অভিভাবক।

কিন্তু একজন দীপ্তিমান, আলোর পথের যাত্রী, আদর্শস্থানীয় শিক্ষকের অধীনস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য মনোবিদের দরকার কখনোই হয় নি। কারণ তাঁরা ছিলেন একাধারে শিক্ষক, অভিভাবক, পথপ্রদর্শক ও মনোসমীক্ষক। কোন ছাত্রটির আজ মন ভালো নেই, কোন ছাত্রীটিকে কতটুকু শাসন বা আদর করা প্রয়োজন, কে ভবিষ্যতে কতদূর যেতে পারে, সেটা তাঁরা বিলক্ষণ জানতেন। শিক্ষার হাত ধরে জীবনের মহাসড়কে চলার শক্তি, সাহস ও দক্ষতা তাঁরা দিতে পেরেছেন।   তাঁদের শিক্ষার্থীরা সফল হয়েছেন, আত্মধ্বংসী হয় নি। প্রতীকী ছবি

ফলে শিক্ষক ও অভিভাবককে অন্তঃর্ভেদী দূরদৃষ্টি, শিক্ষার্থীমনন পর্যবেক্ষণের ঈর্ষণীয় ক্ষমতা, আদর-ভালোবাসা-স্নেহ, প্রয়োজনীয় শাসন ও দিকনির্দেশনা, যথাযথ প্রণোদনা ইত্যাদির মাধ্যমে সন্তান ও শিক্ষার্থীদের আলোরবৃত্তে সযতনে ধারণ করার প্রয়াস থেকে মুর্হূতের জন্য বিচ্যুৎ হওয়ার অবকাশ নেই। মহাকবি আল্লামা ইকবালের অমোঘ উক্তিটিও বিস্মৃত হওয়া উপায় নেই: “শিক্ষক মোরা শিক্ষক,/ধরনীর মোরা পরমাত্মীয়,/মানুষের মোরা দীক্ষক। ”    

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত রচনা ‘তোতাকাহিনী’র কথা স্মরণ করে বলা ভালো, মাস্টারমশাইয়ের কাজ শুধু পড়াশোনা শেখানো নয়, শিক্ষার্থীদের বিশেষ কিছু মুখস্ত করিয়ে সেটা পরীক্ষার খাতায় বমণ করতে প্ররোচিত করা তো মোটেই নয়, বরং কী ভাবে পড়াশোনা করতে হয়, জীবন গড়তে হয়, সেটাই শেখানো। কম শিক্ষকই তা পারেন। যাঁরা পারেন, তাঁরা আলোর পথের যাত্রী, দীপ্তিমান। এমন শিক্ষকের সামনে এল মনে হয় সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-সংঘাত-ক্ষুদ্রতার ছেদ টেনে অস্থির পৃথিবী একটা নিবিড় শান্তির শ্রেণিকক্ষ হয়ে দু’হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে। তাপিত-সংক্ষুব্ধ-ধূসর ধরিত্রীকে মনে হয় সবুজ বৃষ্টির আদিঅন্তহীন প্রাণময় চরাচর। তাঁর বীক্ষণের পথ ধরে শিক্ষার্থীর দৃষ্টি প্রসারিত হতে থাকে দূর-দূরান্তে, কাল-কালান্তরে, প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে। শিক্ষার্থীর একটি চোখ প্রজ্ঞা আর অন্য চোখ পারমিতা হয়ে তক্ষশিলার আচার্য পুণ্ডরিক ভরদ্বাজ এবং তার পত্নী আচার্যা স্বাতীর কন্যাদ্বয়ের মতো প্রাচীন মগধের চম্পানগরীর পথে-প্রকৃতিতে মিশে যায়। ইন্দ্রপ্রস্থ, শ্রাবস্তী, কপিলাবাস্তু, কুশীনগরের ধূসর সুমৃত্তিকায় তাদের দুই নয়ন যেন খুঁজতে থাকে সম্রাট বিম্বিসার জেষ্ঠ্যপুত্র অজাতশত্রুর প্রলম্বিত ছায়ায় মহাজীবনের হাতছানি। যেন স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যতের ঐতিহাসিক নিয়তি-বলয়ে শিক্ষার্থীরা আত্মঅন্বেষণের প্রহরে প্রহরে শিক্ষা-প্রণোদনার আবহে-সৃষ্ট নব নব আখ্যানে পুনরুজ্জীবিত হয়। বিদ্যার্থীদল এক সময় যেন বা দেখতে পায়, লেভ তলস্তয়ের ‘রেজারেকশন’ উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র ‘কাতিউশা’র ছায়াচিত্র। কেন্দ্রীয় চরিত্র নেখলিউদভের জীবনে কাতিউশা পুনরুজ্জীবনের বার্তা বয়ে আনে। একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষক বা একটি আলোকিত বিদ্যায়তন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের অলিন্দে অলিন্দে, গোপন-অন্ধকার প্রকোষ্ঠে প্রকোষ্ঠে নবজীবনের আলোকোজ্জ্বল আকাশ দিয়ে ভরে দেন। প্রজন্ম ও পরম্পরার কানে কানে সমুদ্র-সমান সাহসিক মন্ত্র উচ্চারণ করে ব্যক্তি ও জাতিসত্তার পুনরুজ্জীবনের অবিনাশী প্রত্যয় অবিরাম জাগিয়ে যান।

এ রকম শিক্ষক ও শিক্ষায়তনের শিক্ষার্থীরা সকলেই হয়ত ফার্স্ট হয় না; কিন্তু তারা আত্মহননের পথও বেছে নেয় না। সাফল্য ও সঙ্কটের মধ্য দিয়ে নিজেকে তৈরি করে শেষ পর্যন্ত জীবনে সার্থক, প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল হয়।

ড. মাহফুজ পারভেজড. মাহফুজ পারভেজ: অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 


বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।