ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগের মুখে গণতন্ত্র, অন্তরে একনায়কতন্ত্র: মঈন খান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
আ.লীগের মুখে গণতন্ত্র, অন্তরে একনায়কতন্ত্র: মঈন খান

রাজশাহী: বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ যা বলে তা না করে উল্টোটা করে।

তার বহু প্রমাণও রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সর্বদাই মিথ্যাচার করেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করেন। জনগণকে তারা ধোকা দিচ্ছেন। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে একনায়কতন্ত্র।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীর ভূবন মোহন শহীদ মিনারে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নাকি আওয়ামী লীগের প্রায় ১০ লাখ লোক মারা যাবে। এ ধরনের মিথ্যাচার বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে- আসলে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভয় পায়। কারণ এ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষকে না খাইয়ে রাখে। দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। বর্তমানেও সেই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সব প্রকার জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এখন প্রতিটি পণ্যরই দাম আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সব ধরনের পণ্য। দেশের টাকা পাচার করায় অর্থনৈতিকভাবে দেশ পঙ্গু হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, এ সরকার ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল। সে সময়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাস্তায় সাপের মতো করে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। কিন্তু সে সময়েও বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু বিএনপি জনগণের কথা ভেবে সংবিধান পরিবর্তন করে এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা চালু করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। আর এখন বলছে এটা সংবিধানে নেই।

মঈন খান বলেন, বিএনপি যা বলে তাই করে। এ দল কখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে না। বিএনপি একটি মার্জিত ও সুসংগঠিত দল। তাই জনগণকে বিভ্রান্ত করে আর লাভ হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাজহান মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ লতিফ খান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।  

এছাড়া রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার ও মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।