ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মহাসমাবেশের একদিন আগেই পল্টনে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
মহাসমাবেশের একদিন আগেই পল্টনে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা  সমাবেশের একদিন আগেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়

ঢাকা: বিএনপির আগামী ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে একদিন আগেই পল্টন এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছে। এতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জুমার নামাজের পর থেকে নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তারা দলের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সরেজমিনে নয়া পল্টনের বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। এসময় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। নেতাকর্মীদের ভিড়ে পার্টি অফিসের এক পাশের রাস্তার প্রায় অর্ধেক ব্লক হয়ে যায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্বে থাকা লোকজন মাইকিং করে নেতাকর্মীদের রাস্তার একপাশ ছেড়ে দিতে বলেন। নেতাকর্মীদের ভিড় সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবকদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।  

পাশাপাশি সমাবেশের দিন কি হতে পারে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে।

মাদারীপুর শিবচর থানা থেকে বিএনপি মহাসমাবেশে যোগ দিতে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন এমরান হোসেন নামের এক বিএনপি কর্মী।  

ঢাকায় ঢুকে পার্টি অফিসের সামনে চলে আসেন তিনি মহাসমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে। ঢাকায় প্রবেশের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশি মুখেও পড়েন বলে জানালেন এ বিএনপি কর্মী। তবে কৌশলে তাদের এড়িয়ে যান।  

বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে তৎপর পুলিশের চেকপোস্ট

কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এতদিন ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে এসেছি। আমাদের আন্দোলন কর্মসূচিগুলো সামনের দিনও শান্তিপূর্ণভাবে থাকবে। আশা করি সরকার আমাদের কর্মসূচিগুলোতে কোনো ধরনের বাধা দেবে না।  

কেন সমাবেশের আগের দিন পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোয়াখালী থেকে আসা এক বিএনপি কর্মী জানান, সমাবেশের দিন পার্টি অফিসের সামনে আসতে নানা ধরনের বাধার মুখে পড়তে হতে পারে। সেজন্য আগে থেকেই এই ধরনের ঝামেলা এড়াতে এখনই পার্টি অফিসের সামনে এসেছি। ঢাকায় আসার সময় ট্রেনে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছিল। ঢাকায় কাজ আছে, পুলিশকে এমন বলে কোনোমতে সেখান থেকে এসেছি।  

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পল্টন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি করছে। এ সময় পার্টি অফিসে ঢোকার পথে নাইটিঙ্গেল মোড়ে এবং ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট লক্ষ্য করা গেছে। একই সঙ্গে বিএনপির পার্টি অফিসের দুই পাশে পুলিশের সতর্ক অবস্থানও রয়েছে যাতে করে আইনশৃঙ্খলার কোনো ধরনের অবনতি না ঘটে।  

সমাবেশের একদিন আগেই নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি

পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিএনপির মহাসমাবেশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। আমরা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) একটি বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে বিভিন্ন ধরনের টহল, চেকপোস্ট বসানো, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে ৬০টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।  

আজ বিকেল থেকে পল্টন ও এর আশপাশ এলাকায় এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়।

ডিএমপি সূত্র জানায়, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমপি। ডিএমপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো থেকে পাওয়া ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩ 
ইএসএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।