ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কেন্দুয়ায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ, যা বললেন ইউএনও 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
কেন্দুয়ায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ, যা বললেন ইউএনও 

নেত্রকোনা: প্রভাব খাটিয়ে অনুমোদন ছাড়াই নেত্রকোনার কেন্দুয়া-মদন সড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম হিলালী নামে এক বিএনপি নেতার ‍বিরুদ্ধে। স্থানীয় অনেকে এ অভিযোগ করলেও এ ব্যাপারে ইউএনও বলেছেন ভিন্ন কথা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলছেন, তিনি তার নির্বাহী ক্ষমতা বলে গাছগুলো কাটিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কেন্দুয়া-মদন সড়কের পাশে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালীর বাড়ির সামনের তিনটি বড় মেহগনি ও রেইনট্রি গাছ কাটা হয়। বনবিভাগের অনুমোদন বা টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা প্রশাসন কাটা গাছগুলো নিয়ে যায়। গাছগুলো কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৯ আগস্ট আমিন হিলালী নামে এক ব্যক্তি তাদের বাড়ির সামনের তিনটি বড় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পরে গত সোমবার গাছগুলো কাটা হয়। কাটা গাছগুলো আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুমতি চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির জবাব পেলে কাটা গাছগুলো নিলাম ডাকের ব্যবস্থা করা হবে।

ইউএনও আরও বলেন, নির্বাহী ক্ষমতা বলে যে কোনো সময় যে কোনো সরকারি গাছ ইউএনও কাটতে পারেন। পরে গাছগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করলেই হয়।  

আমিন হিলালী ও রফিকুল ইসলাম হিলালী আপন ভাই। তাদের পৈতৃক বাড়ির সামনে ছিল গাছগুলো।  

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, বাড়ির সামনের গাছগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও অর্ধমৃত অবস্থায় ছিল। আর গাছগুলো হেলানো ছিল। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমার ভাই আমিন হিলালীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন গাছগুলো কেটেছে বলে শুনেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।