ঢাকা, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৬ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

ধর্ষণ মামলা করায় শিশুর বাবা খুন: ভুক্তভোগী পরিবারে তারেক রহমানের ফোন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
ধর্ষণ মামলা করায় শিশুর বাবা খুন: ভুক্তভোগী পরিবারে তারেক রহমানের ফোন

বরগুনা: বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করায় খুন করা হয় শিশুটির বাবাকে। শোকাহত দরিদ্র ভুক্তভোগী এ পরিবারের সদস্যদের ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান।

 

রোববার (১৬ মার্চ) বিকেল ৫টায় বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি এলাকায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের মোবাইল ফোনে কল করে তারেক রহমান নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আপনাদের বরগুনার কৃতি সন্তান আমান উল্লাহ আমান রয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে আপনারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।  

এসময় পরিবারটির জন্য তারেক রহমানের পক্ষ থেকে খাদ্য ও পোশাক দেওয়া হয়।  

এ বিষয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান জানান, বরগুনা জেলার ঘটনা হওয়ায় তারেক রহমান তাকে ফোন করে ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজ খবর নিতে বলেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।  

এসময় তারেক রহমানের পক্ষে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীর, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ফিরোজ উজ্ জামান মামুন, জেলা বিএনপি নেতা এ জেডএম সালেহ ফারুক, পিপি অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন, হুমায়ুন হাসান শাহিন, অ্যাডভোকেট রেজবুল কবীর, পিপি অ্যাডভোকেট রনজু আরা শিপু, তালিমুল ইসলাম পলাশ এবং যুবদল ও ছাত্রদলসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১১ মার্চ রাতে বরগুনা পৌর শহরে নিজ বাড়ির পেছন থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ৫ মার্চ তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে শ্রিরাম রায়ের ছেলে সৃজিত চন্দ্র রায়কে আসামি করে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। ওই দিনই সৃজিত চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ছয়দিন আগেই কারাগারে যান ধর্ষণ মামলার আসামি সৃজিত চন্দ্র রায়।

এদিকে খুন হওয়া ব্যক্তির তিন মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে, দ্বিতীয় মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। আর তার ছোট মেয়ের বয়স মাত্র এক মাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে তিন কন্যা নিয়ে বিপদে পড়েছেন তার স্ত্রী।  

ঘটনার পর ভুক্তভোগীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম এবং পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম খলিল। এছাড়া জেলা বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বাড়িতে যান এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।