ঢাকা, রবিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২, ১১ মে ২০২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

‘অশুভ শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেননি আবদুল্লাহ আল নোমান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০২, মে ১০, ২০২৫
‘অশুভ শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেননি আবদুল্লাহ আল নোমান’

ঢাকা: বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, আবদুল্লাহ আল নোমান সব শুভ কাজের সঙ্গে ছিলেন, তিনি কখনো অশুভ শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে চলেননি।

স্বাধীনতার পক্ষে ভাসানীর আদর্শকে তিনি ধারণ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার ছিল ঘনিষ্ট সম্পর্ক। ভাসানীর ন্যায় তিনিও কখনো দিল্লির দাসত্ব মেনে নেয়নি।

বক্তারা আরও বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যে শক্তিগুলো লড়াই করেছিল তারা আজকে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ঐক্যকে সুদৃঢ় করতে সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বক্তারা অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা দেওয়ার দাবিও জানান।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ শিশুকল্যাণ পরিষদ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক ঐক্য'র সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

গণতান্ত্রিক ঐক্যের সদস্য সচিব সাংবাদিক শিবুকান্তি দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জোটের সমমনা দল ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান এবং জাতীয় পাটি (জাফর)র চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাসানী জনশক্তি পাটির চেয়ারম্যান ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের শীর্ষ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক বাবুল বিশ্বাস, ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস ,বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন,বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক কালাম ফয়েজি।

বক্তব্য রাখেন ভাসানি জনশক্তি পাটির সহপ্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান তালুকদার। আবদুল্লাহ আল নোমানের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জয়নাল আবেদীন জামাল চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের প্রধান এবং জাতীয় পাটি (জাফর)র চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে ভাসানীর আর্দশকে তিনি ধারণ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার ছিল ঘনিষ্ট সম্পর্ক। ভাসানীর ন্যায় তিনিও কখনো দিল্লির দাসত্ব মেনে নেয়নি।

ভাসানী জনশক্তি পাটির চেয়ারম্যান ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের শীর্ষ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আদালতের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক দেশে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের দেশেও তা করা হোক। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হোক তা আমরা চায় না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা দেখতে চাই। অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেখতে চাই। সে সঙ্গে জাতীয় পাটির বিচার দেখতে চায় জনগণ।

কালাম ফয়েজি বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন। বিএনপির রাজনীতিতে চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতা। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও নোমানের অবদান অনস্বীকার্য। জিয়াউর রহমানের বিশ্বস্ত ও আদর্শের সৈনিক ছিলেন।  

তিনি বলেন,অনির্বাচিত সরকার দেশের কল্যাণকর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অবিলম্বে নিবার্চনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানান।

টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।