ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

বৈশ্বিক মন্দায়ও পুঁজিবাজারে আস্থা ছিল বিনিয়োগকারীদের

এস এম এ কালাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
বৈশ্বিক মন্দায়ও পুঁজিবাজারে আস্থা ছিল বিনিয়োগকারীদের

ঢাকা: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও পুঁজিবাজারের নানা ইতিবাচক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বিদায় নিচ্ছে ২০২২ সাল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে করোনার মহামারিতে বিধ্বস্ত বিশ্ব যখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার প্রত্যাশা করছিল ঠিক তখনি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সেই গতি থামিয়ে দেয়।

ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত শুরুর পর থেকেই অস্থিরতা দেখা দেয় বিশ্বের পুঁজিবাজারে। দেশের পুঁজিবাজারও বাদ পড়েনি। বিভিন্ন কারণে বাজার-চিত্র পাল্টে যেতে থাকে।

টানা দরপতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও অনেকটা চাপের মুখে পড়ে। পুঁজিবাজারেও অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে বিনিয়োগকারীরা কমিশনের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
 
বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে বাজারে টানা পতন ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী পদক্ষেপ নেয়। কমিশনের পদক্ষেপগুলো ছিল সময়পোযোগী। এতে বিনিযোগকারীরা কমিশনের প্রতি আস্থা রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের পুরো সময়টা বিনিয়োগকারীদের জন্য দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কেটেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। কমিশন পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে। কিন্তু সমস্যার কারণে বিশেষ করে ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ, ডলার সংকট, জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়া ইত্যাদি সমস্যার কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু ২০২৩ সাল পুঁজিবাজারের জন্য সুদিন বয়ে আনবে কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। নতুন বছরে আমরা একটি স্থিতিশীল, আস্থাশীল, বিনিয়োগবান্ধব পুঁজিবাজার দেখতে পাবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে বিদায়ী বছরে নানা সংকটের মধ্যেও প্রথমবারের মতো ইসলামি সুকুক বন্ড তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ৩,১৬৮,০৮০.২৯ মিলিয়ন টাকা বাজার মূলধন নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে বহুল প্রতিক্ষিত ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু হয়েছে। পুঁজিবাজারে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)- এ লেনদেন শুরুর অপেক্ষায়। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালুর কার্যক্রমও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পুঁজিবাজারে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট (আরইআইটি) প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওটিসি প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত বেশ কিছু কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আটকে আছে, এ কারণে কিছু কোম্পানিকে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।

চলতি বছরে আলোচিত ছিল ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়তা করেছে। শুধু তাই নয় দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবের ক্ষেত্রে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনার দাবি জানিয়ে আসছিল। এক যুগের বেশি সময় ধরে এ দাবি অমীমাংসিত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ ধরে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট হিসাব করার নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা বাজারের জন্য ছিল ইতিবাচক।

বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দামের চেয়ে ১০ শতাংশ কম দামে শেয়ার বেচাকেনা করার নির্দেশনা দেয় কমিশন। বছরের শেষ ভাগে শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি ফেরাতে তালিকাভুক্ত ১৬৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর আরোপিত ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়, তবে একদিনে সর্বোচ্চ এক শতাংশের বেশি কমতে পারবে না বলেও নির্দেশনায় বলা হয়। সুতরাং কমিশনের নানা পদক্ষেপ ছিল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখার।

অন্যদিকে পুঁজিবাজারের বিগত বছরের অবস্থা ও আগামী বছরের বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়ে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক অর্থনীতি টানাপোড়নের মধ্যদিয়ে যাচ্ছিল, এরই ধারাবাহিকতায় বছরের শেষভাগে দেশের পুঁজিবাজার একটা বিয়ারিশ ট্রেন্ড পার করে। আশা করি ২০২৩ সালের শুরুতেই এ সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। এর মূল কারণ দেশের অর্থনীতি তার বৈশিষ্টগত সহনশীলতার কারণে বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এছাড়া ২০২৩ সালের শুরুতেই ডিএসই’র অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড চালু করণ, মোবাইল অ্যাপস এর ক্যাপাসিটি বাড়ানো, বন্ড মার্কেটের জন্য স্বতন্ত্র অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠাসহ বাজারের অধিকতরস্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গুণগত সম্প্রসারণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা আশাকরি পুঁজিবাজারে এর সুফল বয়ে আনবে।
 
বাজার-চিত্র

২০২২ সাল শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৫৮টি। এর মধ্যে কোম্পানি ৩৫৪টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৩৭টি, ডিবেঞ্চার আটটি, গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড ২৫০টি এবং করপোরেট বন্ড নয়টি। যার বাজার মূলধনের কাঠামো কোম্পানি ৫৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড শূন্য দশমকি ৫১ শতাংশ, করপোরেট বন্ড শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ, ডিবেঞ্চার শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ এবং গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড ৪১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
 
এসএমই

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ছয়টি এসএমই কোম্পানি নিয়ে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সূচনা করে। ২০২২ সালের শেষে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫টি এবং মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪,৪৯৫.৮৩ মিলিয়ন-টাকা। যা মোট লেনদেনের এক দশমিক শূন্য চার শতাংশ। বছর শেষে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫৯০২.০৯ মিলিয়ন-টাকা। ২০২২ সালে এসএমই উদ্যোক্তারা ছয়টি কোম্পানির (মামুন এগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড, কৃষিবিদ সিড লিমিটেড, স্টার অ্যাডেসিভস লিমিটেড, বিডি পেইন্টস লিমিটেড, আছিয়া সি ফুডস লিমিডেট এবং নিয়ালকো অ্যালোস লিমিটেড) মাধ্যমে ৬১১ মিলিয়ন-টাকা মূলধন উত্তোলন করে।
 
মোবাইল লেনদেন

২০২২ সাল শেষের দিকে মোবাইলে লেনদেনকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ১০৩ জনে। ২০২২ সালে মোবাইলের মাধ্যমে মোট ১৩ দশমিক ১০ মিলিয়ন আদেশ দেয়। এর মধ্যে ১০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন আদেশ কার্যকর হয়। এ বছর মোবাইলের মাধ্যমে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০০,৭৯৮.৩৬ মিলিয়ন-টাকা। এর মধ্যে ক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১৫৩, ৫৩৪.৮৪ মিলিয়ন-টাকা এবং বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১৪৭,২৬৩.৫২ মিলিয়ন-টাকা। যা মোট লেনদেনের ১২.৮৩ শতাংশ।
 
আইপিও

২০২২ সালে ছয়টি কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে ৭,১৩৭.৮১ মিলিয়ন-টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি প্রিমিয়াম বাবদ মূলধন সংগ্রহ করে ৮৭৫.২০ মিলিয়ন-টাকা। এছাড়াও একটি পারপিচ্যুয়াল বন্ড এবং একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে ৭৫০.০০ মিলিয়ন-টাকা মূলধন সংগ্রহ করে এবং এক পারপিচ্যুয়াল বন্ড প্রাইভেট প্লেসম্যান্টের মাধ্যমে ৪০০০ মিলিয়ন-টাকা মূলধন সংগ্রহ করে।

রাইট শেয়ার ইস্যু

২০২২ সাল একটি কোম্পানি ১০ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ১০৯ দশমিক ৮২ মিলিয়ন-টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। অপরদিকে ২০২১ সালে দুটি কোম্পানি ৫১ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৭৭৭.৬৫ মিলিয়ন-টাকা মূলধন সংগ্রহ করে।
 
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) কমে ৮.১৪ শতাংশ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের বছরের চেয়ে ৫৪৯ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ৬২০৬ দশমিক ৮১ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ২০২২ সালে ডিএসইএক্স মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ৭১০৫ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ৫৯৮০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।

ডিএসই ৩০ সূচক (ডিএস৩০) কমে ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ

ডিএসই ৩০ সূচক (ডিএস৩০) ৩৩৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে ২১৯৫ দশমিক ৩০ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ২০২২ সালে ডিএস ৩০ মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ২৬৩৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ২১৪৫ দশমিক ২৫ পয়েন্ট।

ডিএসইএক্স শরীয়াহ সূচক (ডিএসইএস) কমে ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ

একই বছর ডিএসইএক্স শরীয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ৭২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ কমে ১৩৫৮ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ২০২২ সালে ডিএসইএস মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ১৫২২ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ১৩০৮ দশমকি ২০ পয়েন্ট।

বাজার মূলধন

২০২২ সালে ডিএসই’র ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে ৩,১৪০,১৪৩.২৭ মিলিয়ন-টাকা বাজার মূলধন নিয়ে ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭,৭২৫,১৪৪ মিলিয়ন-টাকা। বছর শেষে বাজার মূলধনে দাঁড়ায় ৭,৬০৯,৩৬৮ মিলিয়ন-টাকা দাঁড়ায়।
 
তবে বিদায়ী বছরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর প্রাথমিক অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে এ বাজারে বিশ্বের সব দেশের বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম ঘটবে। দেশের উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সব মিলিয়ে ২০২২ সাল বৈশ্বিক মন্দার কারণে পুঁজিবাজার কিছুটা খারাপ সময় পার করলেও বিনিয়োগকারীরা বর্তমান কমিশনের প্রতি আস্থা ধরে রাখায় আগামী বছরটা ইতিবাচক হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।