ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

ময়মনসিংহে ৩ নক্ষত্রের বিদায়

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৪
ময়মনসিংহে ৩ নক্ষত্রের বিদায় ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ: মৃত্যু এক অমোঘ শব্দ। বিদায়ী ২০১৩ সালে ময়মনসিংহবাসী হারিয়েছে ৩ নক্ষত্রকে।

নিজেদের কর্মময় আলোকিত জীবনের মাধ্যমে আলোকবর্তিকা হয়ে তাঁরা থাকবেন ময়মনসিংহবাসীর মাঝে।  

দূর আকাশে হারিয়ে যাওয়া ৩ নক্ষত্র হচ্ছেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন, কইনচাইন দেহি খ্যাত প্রখ্যাত কৌতূক অভিনেতা সিরাজুল হক মন্টু ও সাদা মনের মানুষ ডা. কে জামান।

জাগতিক সব অধ্যায় থেকে চির প্রস্থান করলেও মানুষের মনের হীরক দ্যুতিতে চিরদিন জ্বলে থাকবেন এ কীর্তিমান মানুষগুলো।  

প্রখ্যাত কৌতূক অভিনেতা সিরাজুল হক মন্টু
প্রখ্যাত কৌতূক অভিনেতা সিরাজুল হক মন্টু বিদায়ী বছরের ৮ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মন্টু ভাইয়ের মৃত্যুতে ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে আসে।

৭৫ বছর বয়সী মন্টু ভাই প্রয়াত ফজলে লোহানীর যদি কিছু মনে না করেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান আচ্ছা বলুনতো দেখি খ্যাত জনপ্রিয় কৌতূক অভিনেতা ছিলেন।

সিরাজুল হক মন্টু বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত এবং মঞ্চের নিয়মিত অভিনয় শিল্পী ছিলেন। ময়মনসিংহ শহরের আকুয়াতে ১৯৩৮ সালের গোড়ার দিকে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে স্থানীয় সিটি ক্লাব থেকে অমরাবতী মঞ্চে টিপু সুলতান নাটকে টিপুর ছোট ছেলে মোয়াজুদ্দিনের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়।

টেলিভিশনে শুরুতে তিনি বি গ্রেড ভুক্ত হলেও দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি বিটিভিরএ গ্রেড শিল্পীর তালিকাভুক্ত হন। অসুস্থ হবার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত মন্টু ভাই হানিফ সংকেতের ইত্যাদিতে নিয়মিত অভিনয় করেছেন।

বাংলা সিনেমাতে তাঁর অভিনীত সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুজন-সুখী, দর্পচূর্ণ, মাটির ঘর অন্যতম।

কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন বিদায়ী বছরের ৫ মে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। মাত্র ৩৩ দিনে তিনি ময়মনসিংহের সুধী মহলের ভালোবাসা কুড়িয়েছিলেন।

কিন্তু গেল বছরের ১৬ জুন রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ কবি উপাচার্যের চিরপ্রস্থানে শোকে পাথর হয়ে যান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ মৃত্যুশোক স্পর্শ করে কাছের মানুষ থেকে দূরের মানুষকেও।

সাদা মনের মানুষ ডা. কে জামান
সাদা মনের মানুষ ডা. কে জামান ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক। সমাজসেবা ও মানবতার প্রতি ছিল তাঁর অব্যাহত ব্যাপক অবদান। শহরের সিভিল সোসাইটির অন্যতম পুরোধা এ ব্যক্তি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন গুণী মানুষ। নিজের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। সততার জন্য তার খ্যাতি ছিল প্রবাদসম। তিনি হয়েছিলেন সাদা মনের মানুষ। ২০১৩ সালের ২৯ জুন তিনি অনন্তলোকে যাত্রা করেন।

বাংলাদেশ সময় ১২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৪
সম্পাদনা: খুররম জামান, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাফেয়ার্স এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।