ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পুঁজিবাজারে আসছে আমান কটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পুঁজিবাজারে আসছে আমান কটন

উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায় আমান কটন। বাজার থেকে এ টাকা পেলে কোম্পানির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ থেকে ৪৩ মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করা হবে।

ঢাকা: উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায় আমান কটন। বাজার থেকে এ টাকা পেলে কোম্পানির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ থেকে ৪৩ মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করা হবে।

শনিবার (ডিসেম্বর ১০) গাজীপুরের শ্রীপুরে কোম্পানির নিজস্ব কারখানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আমান গ্রুপের ফাইন্যান্স পরিচলক ও আমান কটনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোক্তার হোসেন তালুকদার।

এ সময় কোম্পানির পরিচালক তরিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সাংবাদিকেদের কারখানাটি ঘুরে দেখানো হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যবসায় সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে আমান কটন। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে এ টাকা উত্তোলন করা হবে।

কটন,পলিস্টার, সিল্কসহ অন্য ফাইবার উৎপাদনকারী এ কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকার ৪৯ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করবে। বাকি টাকার মধ্যে কোম্পানির আগের ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ১০ কোটি টাকা খরচ করবে। এছাড়াও আইপিও বাবদ সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় করবে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির ১৭১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার কটন বিক্রি করেছে। এর ফলে মুনাফা হয়েছে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এতে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিলো ৩ দশমিক ২১ টাকা।

এর পরের বছর (২০১৫-১৬ অর্থবছরের) ৯ মাসে (জুলাই ২০১৫-মার্চ ২০১৬) ১১৫ কোটি ৭ লাখ টাকার বিক্রয় হয়েছে। এ সময় মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৬৪ লাখ বা ইপিএস ২ দশমিক ৪৬ টাকা।
 
সর্বশেষ ৩১ মার্চ ২০১৬ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির নিট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২৭৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার। যাতে প্রতিটি শেয়ারে সম্পদ (এনএভিপিএস) হয় ৩৪ দশমিক ৩৫ টাকা।
 
আইপিওতে টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কোম্পানিটির রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর ইস্যুর রেজিস্টারে দায়িত্বে আছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
 
সংবাদ সম্মেলনে মোক্তার হোসেন তালুকদার জানান, বছরে ৬ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন সুতা উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে আমান কটনের। এর মধ্যে প্রতিবছর ৯৫-৯৭ শতাংশ উৎপাদন হয়। ভবিষ্যতেও উৎপাদনে এ ধারাবাহিকতা থাকবে।

পরিচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে কটনে যে চাহিদা রয়েছে, তার মাত্র ৬০ শতাংশ যোগান দেওয়া সম্ভব হয়। সুতরাং ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়লেও চাহিদার ঘাটতি হবে না। এতে বিক্রয় কমে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই নেই। তিনি আরও বলেন, পণ্যের কোয়ালিটিতে আমরা কোনো কম্প্রোমাইজ করি না।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।