ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ড্রাগন সোয়েটার পরিচালকদের ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
ড্রাগন সোয়েটার পরিচালকদের ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ সঠিক ব্যবহার না করায় ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালকদের ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওই প্রতিষ্ঠানের মোট ৬ পরিচালককে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করে।

রোববার (১১ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ  তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগের নিয়ম না মানার দায়ে ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডকে (ডিএসএসএল) ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

গত ০৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বিএসইসি’র ৬২৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ড্রাগন সোয়েটার কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার না করায় সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে বিএসইসি কোম্পানির প্রত্যেক উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে।

কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা হলেন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামরুস সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা গোলাম কুদ্দস, পরিচালক ফজলুতুন নেসা, ফাউজিয়া কামরুন তানিয়া, তাসনিয়া কামরুন আনিকা, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী।

২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের এ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪০ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার। আর বাকি ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে।

কোম্পানির ব্যবসা বৃদ্ধি, বিল্ডিং সংস্কারসহ চারটি খাতে ব্যয়ের জন্য পুঁজিবাজার থেকে ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। কথা ছিলো বিনিয়োগকারীদের এ টাকা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের চারটি খাতে ব্যবহার করবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব টাকা ব্যয় করতে পারেনি। পাশাপাশি যেই টাকা ব্যয় করেছে তাও সঠিক ভাবে ব্যয় করেনি। তাই বিএসইসি কোম্পানিটির পরিচালকদের এ অর্থ জরিমানা করেছে।

এর আগে ০৯ জানুয়ারি নিয়ম না মানার দায়ে ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডকে (ডিএসএসএল) ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। কোম্পানি’র নিরীক্ষক কর্তৃক কমিশনে দাখিলকৃত বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে তিন ধরনের আইন ভঙ্গ করায় এ জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে আইপিও ফান্ডের মোট ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ নগদ ব্যয় করেছে এবং তা খরচ হিসাবে আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শন না করার মাধ্যমে আইপিও’র সম্মতিপত্র নং-এসইসি/সিআই/আইপিও-১৮১/২০১২/৬২১ এর ‘সি’ এর প্যারা ৭ এর লঙ্ঘন।

বুকস অব অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় তাদের আর্থিক বিবরণীতে সঠিক ও যথাযথ তথ্য প্রতিফলিত না হওয়ার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ লঙ্ঘন।

এছাড়াও প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত ঘোষণা অনুসারে যন্ত্রপাতি না করায়, যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার দায়ে কোম্পানিকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।