ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ইজিএমে চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
ইজিএমে চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব অনুমোদন ইজিএমে উপস্থিত ডিএসইর পর্ষদ সদস্যরা।

ঢাকা: চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে পেতে অনুমোদন দিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডাররা।

কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে রয়েছে চীনের দুই পুঁজিবাজার শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা এ অনুমোদন দিয়েছেন।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী।  

তিনি বলেন, ইজিএমে শেয়ারহোল্ডাররা চীনের কনসোর্টিয়ামের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছেন। যা পুঁজিবাজারের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। শেয়ারহোল্ডারদের এ অনুমোদন একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলেও অভিমত দিয়েছেন শাকিল রিজভী।

ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম ডিএসইর ৮ম বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান, হানিফ ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান ইমন, সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমানসহ বর্তমান পরিচালক এবং ডিএসইর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি চীনের কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদনের জন্য ডিএসইর সেক্রেটারি মো. আসাদুর রহমান বিএসইসিতে প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। তবে ১৯ মার্চ ডিএসইর দেওয়া চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার প্রস্তাব অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে ডিএসই কর্তৃপক্ষকে নতুন করে সংশোধিত প্রস্তাব করার সুযোগ দেয়। এরই আলোকে ৩০ এপ্রিল ইজিএম আয়োজন করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

বিএসইসির ওই শর্তগুলোর মধ্যে ছিল- কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি করা যাবে না, যা দেশের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং ডিএসইর সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পরিপন্থী। আর ডিএসইর আর্টিকেলের পরিপন্থী কোনও সংশোধনী গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া বিএসইসিতে প্রস্তাবের আগে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে, ডিএসইর সাধারণ সভায় বিএসইসির পর্যালোচনা কমিটির পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যাহার করা শর্তগুলো জানাতে হবে এবং সাধারণ সভায় গৃহিত প্রস্তাব, সংশোধিত চুক্তি ও অন্যান্য ডকুমেন্টস কমিশনে দাখিল করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। আর ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে চীনের কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদনের জন্য ডিএসইর সেক্রেটারি মো. আসাদুর রহমান বিএসইসিতে প্রস্তাব জমা দেন। এর আলোকে একইদিনে ডিএসইর প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে আহ্বায়ক ও নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের কমিটি করে বিএসইসি। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- নির্বাহী পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

ডিএসইর প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ে বিএসইসির পর্যালোচনা কমিটি চীনা কনসোর্টিয়ামের কিছু শর্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসইকে লিখিতভাবে জানায় বিএসইসি। এরই আলোকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ৪ মার্চ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে সেই ব্যাখ্যায় বিএসইসি সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।