ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

লেনদেন অসম্পূর্ণ ১২৩ কোম্পানির শেয়ার কিনছে ডিএসই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৮
লেনদেন অসম্পূর্ণ ১২৩ কোম্পানির শেয়ার কিনছে ডিএসই

ঢাকা: কারিগরি ত্রুটির কারণে সোমবার (০২ জুলাই) লেনদেন অসম্পূর্ণ থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ব্রোকারেজ হাউজের ১২৩ কোম্পানির শেয়ার কিনছে ডিএসই।

প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য। মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) ডিএসই ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ লিমিটেডের আইটি বিভাগের সফটওয়্যারের ক্রুটির কারণে সোমবার ১২৩টি কোম্পানির শেয়ারের লেনদেনের তথ্য  ডিএসই ও সিডিবিএলে রাত ১টা পর্যন্ত জমা দিতে পারেনি।

এরপর রাত ১টার দিকে সমস্যার সমাধান করে হাউজটি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে লেনদেনের তথ্য ডিএসই ও সিডিবিএলে জমা দিতে না পারায় মঙ্গলবার হাউজটির লেনদেন বন্ধ থাকে। আর সেটেলমেন্ট জটিলতায় লেনদেন অসম্পূর্ণ থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনেছে ডিএসই। আশা করছি, বুধবার থেকে ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেন করতে পারবেন। তবে সেজন্য ব্রোকারেজ হাউজটিকে আইন অনুযায়ী জরিমানা গুনতে হবে। এটি হলেই আর কোনো জটিলতা থাকছে না।
 
নাম অপ্রকাশ শর্তে ডিএসইর এক পরিচালক বাংলানিউজকে বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভুল ও কারিগরি ত্রুটির কারণে সোমবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজের ১২৩টি কোম্পানির শেয়ারে সেটেলমেন্ট হয়নি। এ কারণে সেটেলমেন্ট না হওয়া শেয়ারগুলো ডিএসই কিনে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সমন্বয় করছে।

তিনি বলেন, এটি সাধারণ ঘটনা। এর আগেও অনেক ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আশা করছি আজকের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। কাল থেকে এই হাউজের বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারবেন।

১২৩টি কোম্পানির মধ্যে ডিএসই আমরা নেটওয়ার্কের ৪ হাজার, আমরা টেকনোলজিসের ৩৫৪টি শেয়ার কিনছে। এছাড়াও এবি ব্যাংকের ৭ হাজার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ১৩ হাজার ৫২০টি, অগ্নি সিস্টেমসের ৩ হাজার ৫০০টি, আলহাজ টেক্সটাইলের ৫ হাজার ৪৫০টি, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ হাজার, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৮৮টি, আমান ফিডের ২ হাজার, এমবি ফার্মার ২ হাজার ৭২০টি, প্রাণ-আরএফএল’র ২৭৫টি, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৬৮০টি, অ্যাপেক্স ফুডসের ১৫০টি, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ৩৯৫টি, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের ২৮৪০টি, অ্যাপেক্স ট্যানারির ২০০টি, এটলাস বাংলাদেশের ৩ হাজার ৭৯৮টি, আজিজ পাইপসের ১০০টি, বিএসসির ৫ হাজার ৩০০টি, বারাকা পাওয়ারের ৪০ হাজার, বসুন্ধরা পেপারের ৮১ হাজার ৪৭৭টি, বিবিএস কেবলসের ২৪ হাজার ৭০০টি, বিডি ল্যাম্পসের ৮৩৯টি, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের ১২ হাজার ৫০০টি, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের ১ হাজারটি, বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়ামের ২১ হাজার ২০০টি, বেঙ্গল উইন্ডসোরের ৬ হাজার ৭৯৫টি, বার্জার পেইন্টসের ৭০টি, বেক্সিমকোর ৯১ হাজার ১০০টি, ব্র্যাক ব্যাংকের ২ হাজার, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২ হাজার ৪০টি, সেন্ট্রাল ফার্মার ৬ হাজার ৯টি, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৩ হাজার ৪৯০টি, ডেফোডিল কম্পিউটার্সের ৮ হাজার, দেশ গার্মেন্টসের ৪৮৩টি, ঢাকা ব্যাংকের ৩ হাজারটি, ড্রাগন সোয়েটারের ২১ হাজার ৫০০টি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ১টি, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫টি, এনভয় টেক্সটাইলের ৩০০টি, এক্সিম ব্যাংকের ২০ হাজার, ফাইন ফুডসের ৭ হাজার ৫০০টি, ফরচুন সুজের ৩৩ হাজার ৬০০টি, ফু-ওয়াং সিরামিকের ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৫টি, ফু-ওয়াং ফুডসের ৪৪ হাজার ৫০০টি, জেমিনি সি ফুডের ২৩২টি, জেনারেশন নেক্স ফ্যাশনের ৫ হাজার, গোল্ডেন হার্ভেস্টের ৭ হাজার ৩৫৩টি, জিকিউ বলপেনের ১ হাজার ৮৫০টি, এইচআর টেক্সটাইলের ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬০টি, হাক্কানি পাল্পের ৩০০টি, হামিদ ফেব্রিক্সের ১৩ হাজার ৫২০টি, হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ১০ হাজার, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ৫ হাজার, ইফাদ অটোসের ১ হাজার ১০০টি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়ালের ৩০ হাজার, জেএমআই সিরিঞ্জের ২ হাজার ২০০টি, কেঅ্যান্ডকিউ’র ২ হাজার ৪০৬টি, কেডিএস এক্সেসরিজের ৫০০টি, কেয়া কসমেটিকসের ৫ হাজার, খান ব্রাদার্সের ৪ হাজার ৫৮০টি, খুলনা পাওয়ারের ১৩ হাজার ৩৩০টি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৫ হাজার, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ৭ হাজার ৫৫০টি, লিবরা ইনফিউশনের ৫৫৪টি, মালেক স্পিনিংয়ের ৫ হাজার ৬৮২টি, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১৬ হাজার ২৫০টি, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১৩ হাজার ৭০০টি, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ২২ হাজার ৬৯৫টি, এমজেএল বাংলাদেশের ১০০টি, মুন্নু সিরামিকের ৩ হাজার ৮৭টি, মুন্নু জুট স্টাফলার্সের ১৮৫টি, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং মিলসের ১০০টি, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪৪ হাজার ৭৯২টি, ন্যাশনাল পলিমারের ১ হাজার ৪১০টি, ন্যাশনাল টিউবসের ১ হাজার ৫০০টি, নর্দান জুটের ৫৬০টি, ওয়াইম্যাক্সের ৮৫ হাজার ৪৬২টি, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১০ হাজার, ওয়ান ব্যাংকের ৩ হাজার ৮২৫টি, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১২ হাজার ৮০০টি, প্যাসিফিক ডেনিমসের ২ হাজার ৯৫০টি, পদ্মা ইসলামী লাইফের ৪ হাজার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৪ হাজার ৪০টি, পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ১ হাজার, পিপলস লিজিংয়ের ১০ হাজার, ফার্মা এইডসের ১ হাজার ১৩৮টি, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিংয়ের ১ লাখ ৭৬ হাজার ২২৩টি, পূবালী ব্যাংকের ১৩ হাজার ৪৮২টি, কুইনসাউথ টেক্সটাইলের ৬ হাজার ৫৪০টি, আর এন স্পিনিংয়ের ১১ হাজার, রহিম টেক্সটাইলের ১৫টি, রহিমা ফুডের ৩ হাজার ৬৯৭টি, আরএকে সিরামিকের ১৫ হাজার ৩০০টি, রংপুর ফাউন্ড্রির ২ হাজার ৫০২টি, রতনপুর স্টিল রি-রোলিংয়ের ৭৪ হাজার ৭৫৮টি, আরডি ফুডের ৯৫ হাজার ২০০টি, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৮ হাজার, রেনেটার ২৫টি, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১ হাজার ৭৪০টি, সাফকো স্পিনিংয়ের ১৬ হাজার ৬৬৫টি, সাইফ পাওয়ারের ৪ হাজার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ১০০টি, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৫০০টি, শাশা ডেনিমসের ২ হাজার ২৫৫টি, শেফার্ডের ৩১ হাজার ৫০০টি, সিমটেক্সের ১৯ হাজার ২৪৫টি, সিনোবাংলার ১১ হাজার ১০০টি, সোনালী আঁশের ৯৪৯টি, সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫০০টি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৩৯ হাজার ৫৫৯টি, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ২৭০টি, স্টাইল ক্রাফটের ২২০টি, ইউনিক হোটেলের ৯ হাজার ৫৩৫টি, ইউনাইটেড এয়ারের ৭২টি, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৫ হাজার ১৮৬টি, উসমানিয়া গ্লাসের ১ হাজার ৭২৫টি, ওয়াটা কেমিক্যালের ৯০টি, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০টি এবং জাহিন স্পিনিংয়ের ১ হাজার শেয়ার কিনছে ডিএসই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।