ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ডিএসইকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানালো জিএসকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
ডিএসইকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানালো জিএসকে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)

ঢাকা: গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা দুই পুঁজিবাজার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) জানিয়েছে। 

রোববার (২৯ জুলাই) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, জিএসকের পরিচালনা পর্ষদ বাণিজ্যিক ঝুঁকিতে থাকা তাদের কোম্পানি ফার্মাসিউটিক্যাল বিজনেস ইউনিটের উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে জিএসকে বাংলাদেশ তাদের কনজিউমার হেলথকেয়ার ব্যবসা চালিয়ে যাবে। সেখানে ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসা বন্ধে কোনো প্রভাব পড়বে না।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও রোববার ডিএসই ও সিএসইকে জানানো হয়।

এই খবরের পর টানা ২০ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে যায়। রোববার কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয় ১১৮২ টাকায়। আর এই শেয়ারটি ১১টা ৪০ মিনিটে বিক্রি হয়েছে ১১৩০ টাকায়। অথচ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ১২০৫ দশমিক ৯০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারে দাম কমেছে ৭৫ টাকার বেশি।  

তার আগে গত ২ জুলাই এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৪১ দশমিক ৯০ টাকায়। সেখান থেকে ক্রমাগতভাবে ২৯ জুলাই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ১ হাজার ১৩০ দশমিক ৬০ টাকায়। অর্থাৎ ২৭ দিনে শেয়ারটির দাম কমেছে ৩১১ টাকা।

১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে রয়েছে দশমিক ৯১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে মাত্র ১ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ দুই বছরের শেয়ারহোল্ডারদের ৫শ’ শতাংশ এবং সাড়ে ৫শ’ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১৫ টাকা ১৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৭৮ টাকা ৪৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ১৮৩ টাকা ৯৩ পয়সা ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এমএফআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।