ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পুঁজিবাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পুঁজিবাজার ডিএসই-সিএসই লোগো

ঢাকা: আবারো বড় দরপতনের মধ্যদিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৮ অক্টোবর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। দিনভর সূচক পতন শেষে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১২ পয়েন্টে।

যা প্রায় দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। এর আগে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি সূচক ছিল ৫ হাজার ১৫৮ পয়েন্ট।

এদিন দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২২৩ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে টানা তিন কার্যদিবস বড় দরপতন হলো। তার আগের অর্থাৎ গত রোব ও সোমবার টানা দু’দিন বড় দরপতন হয়েছিল।

ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষরা বলছেন, পরিবহন শ্রমকিদের ৪৮ ঘণ্টা ‘কর্মবিরতি’র কারণে  ডিএসই’র ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি কম। কোনো কোনো ব্রোকারেজ হাউজে কেবল ট্রেডাররাই বসে আছেন, বিনিয়োগকারী নেই। আবার কোথাও হাতে গোনা কয়েকজন বিনিয়োগকারী এসেছেন, সেখানে ট্রোডাররা এসেছেন দেরি করে। বিনিয়োগকারী না আসায় পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

পাশাপাশি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেট সাপোর্ট না থাকায় বড় দরপতন হয়েছে। এর আগে গত সোমাবার আইসিবির এমডি ঘোষণা দেন আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে দরপতন ঠেকাতে সার্পোট দেওয়া হবে। ২ হাজার কোটি টাকা ফান্ডের বিনিয়োগ শুরু হবে। কিন্তু রোববার থেকে কোনো  উদ্যোগ নেয়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় দরপতন হবে এ শঙ্কায় আছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে দরপতন হচ্ছে।

ডিএসই এর তথ্যমতে, রোববার এ বাজারে ১১ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৩৫টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৩৭১ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ৪২৫ কোটি ১০ লাখ ৬১ হাজার টাকা।  

এদিন ডিএসই-এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৯ দশমিক ৮০পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ২১২ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান নেয় এক হাজার ২১০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস-৩০ ইনডেক্স ২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৫২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ২৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।  

এদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক ২২৩ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার।

এ বাজারে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১৪ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয় ২১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।