ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

অর্থমন্ত্রীর কাছে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ৫ দফা সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
অর্থমন্ত্রীর কাছে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ৫ দফা সুপারিশ

ঢাকা: পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব প্রণয়নে অর্থমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের (বিসিআইএ) পাঁচ দফা সুপারিশ জমা দিয়েছে।

বুধবার (০১ জুন) দুপুরে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে সংগঠনটি।

প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১০ সালের পুঁজিবাজারে মহাধ্বসের ফলে বহু বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়েছেন। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ৩৪ জন বিনিয়োগকারী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। পুঁজিবাজারের পতনের দায় তৎকালীন সরকারের ওপর পড়েছিল। এরপর থেকে পুঁজিবাজার আর পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী স্থিতিশীলতা পায়নি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ বর্তমানে এগিয়ে থাকলেও পুঁজিবাজারের মন্দাভাবের কারণে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য আসন্ন বাজেটে পাঁচটি সুপারিশ আপনার কাছে দাবি আকারে উপস্থাপন করছি।  

বিনিয়োগকারীদের পাঁচ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে:

অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ: অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা শর্তে ১০ শতাংশ কর দেওয়ার শর্তে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বাড়বে, পুঁজিবাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে, দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বাড়বে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বাড়বে।  
 
কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো: বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২ দশমকি পাঁচ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ বলবৎ রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার আরও সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি করছি। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলে বহু নতুন ভালো প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। এর ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়বে।  

লভ্যাংশের ওপর ট্যাক্স: লভ্যাংশের ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানিগুলো লভ্যাংশের ঘোষণার আগে সরকারকে অগ্রিম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করতে হবে। ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।  

লভ্যাংশ দেওয়া: কোম্পানিগুলোর নিট প্রফিটের নূন্যতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ার হোল্ডারদের দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত পরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে।

অর্থের যোগান: বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এতে পুঁজিবাজারের অর্থের যোগান বাড়বে। এছাড়া পুঁজিবাজারের দুঃসময়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।