কোনো এক শুক্রবারে নওশাবা এলেন। অনেক কথা বলার আছে তার, নওশাবার কাছেও শোনার আছে অনেক।
নওশাবার রোজকার খাবারের তালিকায়ও নাকি এসেছে পরিবর্তন। চলছে যোগব্যায়াম। সবই ‘প্রতিরুদ্ধ’র জন্য, এটি খিজির হায়াত খানের পরবর্তী ছবি। ডিসেম্বর থেকে পুরো আঁটঘাট বেঁধে দৃশ্যধারণ শুরু হবে। দলে বলে তারা ‘প্রতিরুদ্ধ’ করতে নামছেন। চলছে স্ক্রিপ্ট পড়া, নাচ-গান-অ্যাকশনের মহড়া। নওশাবা এতে অভিনয় করবেন সহজ-সরল পাহাড়ি মেয়ের চরিত্রে। ভেতরে থাকবে প্রবল প্রেম, বেঁচে থাকার সংগ্রাম। প্রস্তুতির তো দরকারই। নওশাবা বললেন, ‘পাহাড় আমার মক্কা!’ ‘প্রতিরুদ্ধ’ নিয়ে তাই আগ্রহের শেষ নেই তার। কবে যাবেন পাহাড়ে! কবে হবেন পাহাড়ি মেয়ে! এতে তার নায়ক হিসেবে থাকবেন অমিত সিনহা।

নওশাবা বললেন, ‘খিজির হায়াত খান, অমিত আর আমার তিনজনেরই নিজেকে প্রমাণ করার অস্ত্র হচ্ছে ‘প্রতিরুদ্ধ’। ’ আসলেই তো! খিজিরের প্রথম ছবি ‘জাগো’ মুক্তি পেয়েছিলো ২০১০ সালে। এরপর নিজেকে কেবলই গুটিয়ে রেখে চলছিলেন তিনি। ‘প্রতিরুদ্ধ’ হবে তার ফিরে আসার সংগ্রাম। একই কাতারে


আরও বললেন, ‘উধাও, আন্ডার কনস্ট্রাকশন ও প্রতিরুদ্ধ- এই তিনটি ছবিতেই রীতিমতো অডিশন দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। তা-ও একবার না, পাঁচ-সাতবার করে অডিশন দিয়েছি। ’ খানিকটা খোঁচা দিয়ে, হয়তো অভিমান নিয়েই বলে দিলেন, ‘আমি তো তারকা নই। কেউ আমাকে চেনেও না। অডিশন দিতে তাই আত্মসম্মানে লাগে না! আমার মনে হয়, চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটাই যুতসই নিয়ম। ’

ছোটবেলায় পড়া কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প মনে আছে তো? খরগোশ নয়, ওই গল্পের কচ্ছপ চরিত্রই দারুণ পছন্দ নওশাবার। আস্তে-ধীরে চারদিক দেখে-শুনে পা ফেলতে চান তিনি। একটু হাঁপিয়ে, খানিকটা দ্রুত রোদ পেরিয়ে, ছায়ায় বিশ্রাম নেবেন। এভাবেই পৌঁছে যাবেন লক্ষ্যে। এবার বললেন, ‘আমি খরগোশ নই, কচ্ছপ। আস্তে-ধীরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করছি। ’

প্রচার হচ্ছে নওশাবার নতুন বিজ্ঞাপনচিত্র। মাস দু’য়েক আগে ব্র্যাক ব্যাংকের ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনের বিজ্ঞাপনচিত্রটির কাজ করেছিলেন তিনি। পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক। এর আগে বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, বিবিসি সংলাপ, নেসক্যাফে, মেরিডিয়ান চিপস, টেলিটক প্রভৃতি পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে দেখা গেছে তাকে।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৪