নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খান মাত্র দুটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। এর মধ্যে একটিতে তার সঙ্গে ছিলেন ববি হক।
অমিতাভ রেজার নির্দেশনায়ও কাজ করেছেন তানিয়া। সিটি ব্যাংকের ধারাবাহিক সেসব টিভিসিতে নানারূপে পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। এগুলোও আলোচিত।
তো, সিনেমার কী খবর? তানিয়া শুরু করলেন এভাবে, ‘নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হবো কয়েকদিনের মধ্যে। সব চূড়ান্ত না হলে বলতে চাই না। আপাতত তিন নম্বর ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছি। ’

undefined
তানিয়ার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম দুটি ছবি দুই ঘরানার। একটি ‘ঘাসফুল’, অন্যটি ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’। তানিয়ার মতে, ছবির ধরন নিয়ে তিনি ভাবিত নন। তার চরিত্রটি কেমন সেটাই বিবেচ্য।

undefined
আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’-এর শুটিংয়ের দিনগুলোতে ফিরে গেলেন তানিয়া। এই মুহূর্তে একটি বেড়ালের জন্য তার মন কেমন কেমন করছে! মেয়েটির মনে পশুপ্রীতি নেই। কিন্তু একটি বেড়াল কীভাবে কীভাবে যেন তার মনে গেঁথে গেলো। বেড়ালটি ছিলো তার সহশিল্পী। তানিয়া একটু যেন উদাস। ‘আসলে শুটিংয়ের খাতিরে বেড়ালটির সঙ্গে সখ্য হয়েছিলো, তবে মন থেকে নয়। ওকে খাইয়ে দেওয়া, কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানো- এসব করতে করতে ভালো লাগা তৈরি হলো। শুটিং শেষে বিড়ালটিকে সঙ্গে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওর মালিক দিলো না...’

undefined
আনমনা তানিয়াকে আবার কাজের আলাপে ফেরানো যাক। তার তিন নম্বর সিনেমা ‘দরজার ওপাশে’। এর কাজ প্রায় শেষ। এ বছরই মুক্তি পাবে। এসএম শাকিলের পরিচালনায় এতে মেয়েটির নায়ক নবাগত আশরাফ। ছবিটির জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করছেন তানিয়া।

undefined
আবারও চরিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ! তানিয়া মনে করিয়ে দিলেন, এ ছবিতে তিনি একাই তিনটি চরিত্রে রূপদান করেছেন। এটা তার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। ‘বুঝলেন, এটা হচ্ছে জাদুকরী প্রেমের গল্প! দেখা যায়, একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় আমার। তারপর বিয়ে। এবং মারা যেতে হয় আমাকে। এই গেলো একটি চরিত্র। পরে হয় কী, ছেলেটির স্বপ্নে আসি আমি। ওটা আরেকটি চরিত্র। এ ছাড়া তৃতীয় যে চরিত্রটিতে আছি, সেটি এক যাত্রাদলের মেয়ের। ’

undefined
তানিয়া মায়ের মেয়ে। বাবাকে খুব একটা কাছে পান না। দেশ-বিদেশ করে মেয়েকে সময় দেওয়া হয় না তার। মা আর বোন সবসময় তানিয়ার পক্ষে। তাকে কেউ বলে দেয়নি নায়িকা হও। ছোটবেলা থেকে টিভি দেখতে দেখতে মনে হয়েছিলো, টিভিতে নিজেকেই দেখতে চান তিনি। ব্যস, এক সময় ‘ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় ছবি জমা দেওয়া। মা বোন পাশে দাঁড়ালেন যথারীতি।

undefined
আবার সিনেমার প্রসঙ্গে আসা যাক। ধ্যান-জ্ঞানের চলচ্চিত্রে আপনার শুরুটা মনের মতো হয়েছে বলে মনে করেন? একই প্রশ্ন দু’বার করার পর মুখ খুললেন তানিয়া, ‘ঠিক মনের মতো না হলেও আমি অসন্তুষ্ট নই। চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়ার দরকার মনে করেছি। হয়েছে। ভালো করার সময় পরে আরও পাওয়া যাবে। ’

undefined
সম্প্রতি নাম ঘোষণার পরপরই একটি চলচ্চিত্র বেশ আলোচনায় এসেছে। ‘অবলা নারী- ওয়াও বেবি ওয়াও’। এর নায়িকা কিন্তু তানিয়া বৃষ্টি। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এ ছবির বেশিরভাগ অংশের দৃশ্যধারণ শেষ। তানিয়া জানান, ছবিটিতে তার চরিত্রটি ‘শোলে’র হেমা মালিনীর মতো। খুব চঞ্চল। গল্পে দেখা যাবে তানিয়ার নিজের ফলের জুসের দোকান আছে। ক্রেতাদের তিনিই জুস পরিবেশন করেন। পূর্বপরিচিত বন্ধুকেই পরে নায়ক রূপে পাবে মেয়েটি।

undefined
আলাপচারিতা শেষ হওয়ার আগে নতুন একটি খবর দিলেন তানিয়া। তিনি তলোয়ার পরিচালনা শিখছেন। সঙ্গে ঘোড়া দৌড়ানোও। কেনো? ‘সবই চরিত্রের প্রয়োজনে। নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য এই প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিছুদিন পরই শুটিং। সত্যি ঘটনা নিয়ে তৈরি হবে নাটকটি। ’

undefined
এদিকে তানিয়ার একমাত্র ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে মোহনা টিভিতে। এর নাম ‘শিরি ফরহাদ’। এখানে শিরি সেজেছেন তিনি। নাটকের শিরি বাস্তবে প্রায় নিয়মিতই প্রেমের প্রস্তাব পাচ্ছেন ফেসবুকে। এটা বেশ উপভোগও করছেন তিনি। অনেকে কবিতা লিখে পাঠায় তাকে। পড়েন আর হাসেন অনার্স পড়ুয়া তানিয়া। আপাতত কেবল সিনেমার পোকাকেই মাথা খেতে দিচ্ছেন, প্রেম নয়...

undefined
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এসও/জেএইচ