ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

মানুষ ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দিতে প্রস্তুত: জোট নেতৃত্ব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
মানুষ ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দিতে প্রস্তুত: জোট নেতৃত্ব

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বিজেপিকে উৎখাত এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বামপন্থী চারটি দলের ফ্রন্ট ও কংগ্রেস দল মিলিত ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে এবারের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করেছে।

 

এর অংশ হিসেবে ৪৬টি আসনে বামফ্রন্ট, ১৩টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। সেইসঙ্গে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সমর্থনে একটি নির্দল প্রার্থী দিয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এক যৌথ প্রেসমিটের আয়োজন করা হয়। এই প্রেসমিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেন সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ কর, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের অবজারভার জারিতা লাইপ্রারং-সহ বামফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলের নেতারা।

জিতেন্দ্র চৌধুরী আরও বলেন, এবারের ভোট সারা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এবারের ভোট একদিকে তাদের জন্য যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি সম্প্রীতির দিকে। অপর পক্ষ ঠিক হচ্ছে যারা প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে ও নিশ্চন্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই। উপর তলা থেকে শুরু করে নিচুতলার মানুষ সবার এই লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন ত্রিপুরা রাজ্যে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, গত পাঁচ বছর এই রাজ্যে কোনো ভোট সংগঠিত হয়নি তা বুঝতে পেরেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। তাই বিরোধী দলগুলোর তরফে অভিযোগ আনার আগেই নির্বাচন কমিশন নিজেই ‘জিরো পুল ভায়োলেন্স’ কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে চালু করেছে। এই কর্মসূচি থেকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনের দিনগুলোয় যাতে কোনো ধরনের সন্ত্রাস না হয়। তবে এখন আবার লক্ষ্য করা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কর্মরত পুলিশের যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, তাদের অনেকেই সঠিক ভাবে কাজ করছে না। তবে নির্বাচন কমিশনের উপর তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কমিশন সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় তৎপর হবে বলে প্রত্যাশা। বিশেষ করে সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ অধিকারীসহ আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা যেভাবে শাসক দলের হয়ে কাজ করছে তা ঠিক নয় বলেও জানান তিনি। একইভাবে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের দুষ্কৃতীরা বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। পার্টি অফিস এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করছে বলেও অভিযোগ তার।

অপরদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহা বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট দুটি চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল। তারপরও বর্তমানে এই দুটি দল একসঙ্গে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে, সময়ের চাহিদা মেনে এবং জনগণের স্বার্থে তারা একসঙ্গে মিলিত হয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে মানুষ নির্যাতিত বঞ্চিত শোষিত। প্রতিদিন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, বিরোধী দলগুলোর কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যদি তারা জোট না হন তাহলে মানুষ বঞ্চিত হবেন। মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা মিলিত হয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান রাখেন।  

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত নেতারা জানান, রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তারা। সাধারণ মানুষও স্বৈরাচারী বিজেপি সরকারকে ক্ষমতারচ্যুত করার জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যে যৌথ প্রচার চালানো হচ্ছে আগামী দিনে আরও প্রচার চালানো হবে। তারা আশাবাদী বিজেপিকে ক্ষমতার চ্যুত করে তারা ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।