ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

হাওড়া নদীর ঘাটে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গা পূজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭
হাওড়া নদীর ঘাটে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গা পূজা হাওড়া নদীর ঘাটে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গা পূজা-ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: প্রতিবছরের মতো এবারও আগরতলার হাওড়া নদীর ঘাটে অনুষ্ঠিত হলো ত্রিপুরা রাজ্যের উপজাতিদের ঐতিহ্যবাহী গঙ্গা পূজা। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রতাপগড়ের মাস্টারপাড়া এলাকায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা মূলত সনাতন উপজাতির মানুষরা করে থাকেন।

গঙ্গাদেবী হলেন জলের দেবতা। পাহাড়ে জল মানে বৃষ্টি।

জুম চাষে বৃষ্টির জন্য তাকিয়ে থাকতে হতো আকাশ পানে। যে বছর বৃষ্টি হতো না বা কম বৃষ্টি হতো, সে বছর উপজাতি অংশের মানুষদের বেঁচে থাকা ছিলো কষ্টকর। খাদ্যের সন্ধ্যানে ছুটতে হতো এ পাহাড় থেকে ও পাহাড়ে।

তাদের ধারণা ছিলো, জলের দেবী গঙ্গা মানুষের ওপর ক্রুব্ধ হলে বৃষ্টি হয় না। তাই জলের দেবীকে তুষ্ট করতেই বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে গঙ্গাদেবীর পূজা করার প্রচলন শুরু হয়।

কতো বছর আগে ত্রিপুরার কোন রাজা এ পূজার প্রচলন করেন তার ইতিহাস আজও জানা যায়নি। পূজায় ছাগল, মোরগ, পায়রা বলি দেওয়া হয় জলের দেবীকে সন্তুষ্ট করতে।

ত্রিপুরার উপজাতিদের অন্যান্য দেবতার মতো গঙ্গাদেবীর প্রতিমাও তৈরি করা হয় বাঁশ দিয়ে।

পূজায় জুমে উৎপাদিত আতব চাল, দেশি মদ ব্যবহৃত হয়। রাজ চন্তাই (ত্রিপুরার রাজাদের উপজাতি কুল পুরোহিত) এ পূজা করে থাকেন। আগে এ পূজার স্থানে রাজা নিজে গিয়ে পূজা দিতেন।

আগে তিন দিন ধরে এ পূজা চলতো, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পূজা জৌলুস হারিয়েছে। এখন মাত্র একদিনই পূজা হয়। লোক সমাগমও আগের তুলনায় কম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসসিএন/এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।