ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

এখনো ভালোই কদর রিয়া-পাছড়া-রিশার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এখনো ভালোই কদর রিয়া-পাছড়া-রিশার রিশা তৈরি করছেন পাহাড়ি আদিবাসী তরুণী সীমা দেববর্মা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগে আগের চেয়ে কমলেও এখনো আছে পাহাড়ি আদিবাসীদের চিরাচরিত পোশাক-আশাকের কদর। রিয়া, পাছড়া আর রিশা নামক হস্ততাঁতে তৈরি এসব পোশাক বিক্রি করে দামও পাওয়া যায় ভালোই।

ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার কল্যাণপুর ব্লকের পশ্চিম কুজবন এডিসি ভিলেজের সরবংপাড়ার বস্ত্রশিল্পীরাও তাই ভালোই আছেন।
 
আদিবাসী নারীরা দেহের নিম্মাংশে পাছড়া পরেন এবং তাদের বক্ষবন্ধনীকে রিশা বলা হয়।

আর কাউকে বিশেষ সম্মান জানাতে কাঁধে রিয়া তুলে দেওয়া হয়। এসব পোশাকের অধিকাংশ শিল্পীও নারী।

সরেজমিনে পাহাড়ি এলাকাটিতে গেলে ঘরের মধ্যে বসে নারীদের হস্ততাঁতের কাপড় তৈরির ধূপ-ধাপ আওয়াজ শোনা যায় বহু দূর থেকেই।   আধুনিকতার যুগেও চিরাচরিত এসব পোশাকের চাহিদা একেবারে হারিয়ে যায়নি বলেও জানান এসব আদিবাসী বস্ত্রশিল্পী।

হাতের কাজ করতে করতে বস্ত্রশিল্পী সাগরিকা দেববর্মা বাংলানিউজকে বলেন, একটি পাছড়া তৈরিতে ১৫-২০ দিন সময় লাগে। তবে নকশার ওপরও নির্ভর করে এটি। নকশাসহ কারুকার্য যতো বেশি হবে, পাছড়া তৈরিতেও সময় ততো বেশি লাগে।

এ কাজের ওপর মূল্যও নির্ভর করে। এক একটি পাছড়া ১ হাজার রুপি থেকে ৬ হাজার রুপি পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাছড়া তৈরিতে সূতা-জরি মিলিয়ে ৪০০ রুপি থেকে ৫০০ রুপি খরচ হয়, বাকিটা নিজের পরিশ্রম।

পাছড়ার কারিগর আদিবাসী বস্ত্রশিল্পী।  ছবি: বাংলানিউজএখনকার নতুন প্রজন্মের মেয়েরা এসব পোশাক নিয়মিত না পরলেও নানা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরেন বলে জানান আদিবাসী নারী পদ্মলক্ষী দেববর্মা। তবে ফ্যাশান শো'র আয়োজনে তারা চিরাচরিত পোশাকের আকর্ষণে ফিরছেনও।
 
গ্রামের অন্য একটি বাড়িতে রিশা তৈরি করছিলেন তরুণী সীমা দেববর্মা। তিনি জানান, একটি রিশা তৈরিতে ২/৩ দিন সময় লাগে। প্রতিটি ১ হাজার রুপি থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি দরে বিক্রি হয়।

আগের তুলনায় বর্তমানে এ সকল চিরাচরিত পোশাক নির্মাতার সংখ্যা কমে গেলেও এগুলো তৈরি ও বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন বলেও জানান আদিবাসী পাহাড়ি বস্ত্রশিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এসসিএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।